প্রতীকী ছবি।
আলোর উৎসবে এ বার শব্দবাজিকে বর্জনের আবেদন নিয়েই আজ, মঙ্গলবার সকালে পথ হাঁটবে শহরবাসী। স্কুলপড়ুয়াদের পাশাপাশি, বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনও যোগদান করবে সেই মিছিলে। শব্দবাজির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলাই এই মিছিলের লক্ষ্য বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
কালীপুজো ও দীপাবলির দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শব্দবাজির আতঙ্ক ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। পরিবেশকর্মীদের একাংশের মতে, অবাধে শব্দবাজি ফাটানোর জেরে ক্ষতি কতটা, তা সকলকে বুঝতে হবে। কোনও একটি শ্রেণি বা কয়েক জন মানুষের মধ্যে এই ব্যাপারটি সীমাবদ্ধ থাকলে কখনওই শব্দবাজির দাপট রোখা সম্ভব নয়।
এক পরিবেশকর্মীর কথায়, ‘‘ইতিমধ্যেই অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। কতটা মারাত্মক ভাবে শব্দবাজি পরিবেশের ক্ষতি করে, তা এ বার সকলকে বুঝতে হবে।’’ আর এক পরিবেশকর্মী বলছেন, ‘‘শব্দবাজিতে শব্দদূষণের সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু বায়ুদূষণও হয়। তবে তা চোখে দেখা যায় না। সে সম্পর্কেও সকলকে সচেতন হতে হবে।’’
সকাল ১১টায় এলগিন রোড থেকে শব্দবাজি-বিরোধী ওই মিছিল শুরু হওয়ার কথা। তা শেষ হবে ইলিয়ট পার্কে। শব্দবাজি বর্জনের দাবিতে এই মিছিলে যেমন পা মেলাবে শহরের বেশ কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়ারা, তেমনই থাকবেন সাধারণ নাগরিকেরাও। এক উদ্যোক্তার কথায়, ‘‘স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে যদি সচেতনতা তৈরি করা যায়, তা হলে শব্দবাজি বিরোধী অভিযান অনেকটাই জোরদার হবে। কারণ বাজি তো আসলে তারাই কেনে।’’ উদ্যোক্তাদের পক্ষে অজয় মিত্তল বলেন, ‘‘পরিবেশের কোনও ক্ষতি না করে সকলে উৎসবে অংশগ্রহণ করুন।
মিছিলে আমরা এই বার্তাটুকুই দিতে চাইছি।’’