প্রস্তুতি: আজ, বুধবার ছটপুজো। তার আগে দইঘাটে আবর্জনা সাফাইয়ের কাজ চলছে। মঙ্গলবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
ছটে কি জব্দ হবে শব্দ? আরও একটি উৎসবের মুখে আপাতত বড় প্রশ্ন এটাই। ছটপুজোর আগের দিন, মঙ্গলবার প্রশাসনিক প্রস্তুতির মধ্যেও এই প্রশ্নই ঘুরপাক খেল দিনভর। গত কয়েক বছরে জাতীয় সরোবরে ছটপুজোয় প্রবেশাধিকার নিয়ে হওয়া বিক্ষোভের পুনরাবৃত্তি এ বারও হবে কি না, তা নিয়েও চিন্তা বাড়ল। যদিও কলকাতা পুলিশ, কেএমডিএ এবং কলকাতা পুরসভার দাবি, ইতিমধ্যেই সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।
উৎসবকে কেন্দ্র করে ছাড়ের সুযোগ নিয়ে বিধিভঙ্গের ছবি দুই পুজোয় দেখেছে শহর। ছটপুজোতেও ছাড়ের ঘোষণা করেছে সরকার। সেই সুযোগে যাতে কেউ নিয়ম না ভাঙেন, তার জন্য কলকাতা পুলিশের তরফে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, শহরের বিভিন্ন জলাশয় ও গঙ্গার ঘাটে মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ। গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে নজরদারির জন্য তৈরি রাখা হচ্ছে রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। ইতিমধ্যেই জলাশয়গুলিতে ভিড় আটকাতে কলকাতা পুলিশ ও পুরসভার তরফে ব্যারিকেড দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, কিছু রাস্তায় যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে খবর।
তবে ছটেও বাজির তাণ্ডবের আশঙ্কা করছেন সচেতন নাগরিকদের একাংশ। বাজি ব্যবসায়ীদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রচুর বাজি ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ছটের দিন সেগুলি ফাটবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে। যদিও বাজির তাণ্ডব আটকাতে কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্মীরাও নজরদারি চালাবেন বলে সূত্রের খবর।
এ বারও রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে ছটপুজোর পুণ্যার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ এবং কেএমডিএ-র তরফে দু’টি সরোবরের প্রতিটি গেট বাঁশ ও টিন দিয়ে ঘিরে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি গেটে থাকছে পুলিশ। এ দিন সুভাষ সরোবর পরিদর্শন করেন কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা। তবে দুই জাতীয় সরোবরে কড়া নজরদারি থাকলেও পুরসভার তরফে ছটকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া জলাশয়গুলিতে কেমন নজরদারি থাকবে, এখন সেটাই দেখার।