প্রতীকী ছবি।
স্কুলের পরীক্ষাগারগুলির পরিকাঠামো আরও উন্নত করা এবং সেগুলিকে আরও বেশি আধুনিক করে তোলার নির্দেশ দিল সিআইএসসিই বোর্ড। বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন তাঁদের অধীনে থাকা স্কুলগুলির
অধ্যক্ষদের সম্প্রতি জানিয়েছেন, আইসিএসই অর্থাৎ দশম এবং আইএসসি আর্থাৎ দ্বাদশে আগামী দিনে বেশ কিছু নতুন বিষয় শুরু হতে চলেছে। পাশাপাশি, কিছু নতুন বিষয় ইতিমধ্যে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তও হয়েছে। সেই সব বিষয়ের অনেকগুলিই পরীক্ষাগার-নির্ভর। তাই স্কুলগুলিকে প্রয়োজন মতো তাদের পরীক্ষাগারের মানোন্নয়ন করতে হবে। সেগুলিকে করে তুলতে হবে আধুনিক।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর থেকে সিআইএসসিই বোর্ডের অধীনস্থ স্কুলগুলিতে নবম-দশমের পাঠ্যক্রমে যোগ হয়েছে রোবোটিক্স এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম মেধা। দু’টি বিষয়ই অবশ্য ঐচ্ছিক। যারা চলতি বছরে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে, তাদের ২০২৫ সালে দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা দেওয়ার সময়ে এই দু’টি বিষয়ের উপরে পরীক্ষা দিতে হবে। দু’টি বিষয়েরই বেশির ভাগ অংশ প্র্যাক্টিক্যাল নির্ভর। রামমোহন মিশন হাইস্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘যে সব স্কুলে এই দু’টি বিষয় পড়ানো হবে অথবা পড়ানোর পরিকাঠামো রয়েছে, তাদের ল্যাবরেটরি আধুনিক করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, এই দু’টি বিষয় হাতেকলমে শিখতে হলে স্কুলের কম্পিউটার আরও উন্নত মানের হওয়া দরকার। সেই সঙ্গে রোবোটিক্সের জন্য প্রয়োজন উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি।’’
স্কুলের অধ্যক্ষেরা জানাচ্ছেন, পরীক্ষাগারগুলির জন্য কী কী প্রয়োজন, তার একটি তালিকাও দিয়েছে বোর্ড। ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলের অধ্যক্ষা মৌসুমী সাহা জানান, তাঁদের স্কুলে নবম-দশমের পাঠ্যক্রমে রোবোটিক্স এবং কৃত্রিম মেধা রাখা হবে। এর জন্য পরীক্ষাগারের কিছু পরিবর্তন দরকার। সেই কাজ শুরু হয়েছে। মৌসুমীর মতে, ‘‘জাতীয় শিক্ষা নীতিতে মুখস্থবিদ্যা নয়, বরং নিজের বুদ্ধি-বিবেচনা প্রয়োগ করে কোনও কিছু বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছে পড়ুয়াদের। যে কোনও বিষয় পড়ার সময়ে সেটি ব্যবহারিক প্রয়োগের মাধ্যমে পড়ুয়ারা কতটা বুঝতে পারছে, জোর দেওয়া হয়েছে তার উপরে। রোবোটিক্স এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে পড়াশোনা করলে ভবিষ্যতে কাজের সুযোগও বাড়বে।’’
শুধু সিআইএসসিই বোর্ডের স্কুলগুলিই নয়, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদও তাদের পাঠ্যক্রমে কৃত্রিম মেধা এবং ডেটা সায়েন্স— এই দু’টি বিষয় যোগ করেছে। সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, একশোরও বেশি স্কুল ইতিমধ্যেই এই দু’টি বিষয় পড়াবে বলে আবেদন জানিয়েছে। এর জন্য স্কুলের পরীক্ষাগার থেকে শুরু করে সব ধরনের পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে হবে।
সম্প্রতি নিউ টাউনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল ড্রোনের উপরে আলোচনাচক্র এবং প্রদশর্নী। শুধু ছবি তোলাই নয়, ভবিষ্যতে ড্রোন কত রকম ভাবে কাজে আসতে পারে, তা-ও শিখছে পড়ুয়ারা। ওই বিশ্ববদ্যালয়ের ডিন রাজীব গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্কুল স্তরে কৃত্রিম মেধা, রোবোটিক্সের মতো বিষয়ে পড়া থাকলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। চাকরির সুযোগও বাড়বে।’’