গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ‘খুন’-এর ঘটনায় এ বার সিআইডির নজরে এক অ্যাপ ক্যাব চালক। সূত্রের খবর, এই মামলার তদন্তের সূত্র ধরেই ওই চালককে তলব করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাঁকে জেরা করছেন সিআইডি গোয়েন্দারা। সে দিনের ঘটনা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা করতে এই জিজ্ঞাসাবাদ।
চিকিৎসা করাতে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছিলেন সে দেশের সংসদ সদস্য আনওয়ারুল আজিম। কলকাতায় এসে প্রথমে তিনি উঠেছিলেন বরাহনগরে এক বন্ধুর ফ্ল্যাটে। দিন দু’য়েক সেখানে থাকার পর এক দিন বাড়ি থেকে বেরোন আনওয়ারুল। আর ফিরে আসেননি তিনি। আনওয়ারুলের বন্ধু গোপাল বিশ্বাস থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। পরে এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি।
বাংলাদেশের সাংসদ ‘খুন’-এর ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পায় স্থানীয় থানার পুলিশ। সেই ফ্ল্যাটেই আনওয়ারুল ছিলেন বলে অনুমান পুলিশের। সেই ফ্ল্যাটে মেলে চাপ চাপ রক্তের দাগ। সেখান থেকেই নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরে বুধবার এই ফ্ল্যাটে ঘুরে যান সিআইডির আইজি অখিলেশ চতুর্বেদী। তিনি বলেন, ‘‘গত ১৮ তারিখে একটি নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তার পর ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট একটি এসআইটি গঠন করে। তদন্ত করতে গিয়েই আমরা এই ফ্ল্যাটের খোঁজ পাই।’’
তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, ওই ফ্ল্যাটেই ছিলেন আনওয়ারুল। সূত্রের খবর, কী ভাবে ওই ফ্ল্যাটে তিনি গেলেন, তার তদন্ত করতে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করেন গোয়েন্দারা। তদন্তে তাঁরা জানতে পারেন, বরাহনগর থেকে একটি গাড়িতে চেপে নিউ টাউনের আবাসনে পৌঁছন আনওয়ারুল। সিআইডি ইতিমধ্যেই সেই গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আবাসনের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে গোয়েন্দারা একটি অ্যাপ ক্যাবের খোঁজ পান।
ওই ক্যাবে চেপে সন্দেহজনক কয়েক জনকে আবাসন ছাড়তে দেখা যায়। তাঁদের খবর সংগ্রহ করতেই সেই ক্যাবের চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা। ওই ক্যাবে কারা ছিলেন? কখন ক্যাব ভাড়া করা হয়? কোথায় তাঁদের নামানো হয়? ক্যাবে থাকাকালীন যাত্রীরা কী বলছিলেন? তাঁদের সঙ্গে কী কী ছিল— সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই অ্যাপ ক্যাবের সন্ধানে ছিল সিআইডি। তবে এখনও পর্যন্ত আনওয়ারুলের দেহ পাওয়া যায়নি।