Fake Call Center

Fake call center: নেপালে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে ভারতে চিনা প্রতারণা

গত কয়েক মাসে কলকাতা পুলিশের কাছে ঋণ প্রদানকারী অ্যাপের মাধ্যমে সাতটির বেশি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২২ ০৬:৪৬
Share:

ফাইল ছবি

ঋণ প্রদানকারী অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা চলছিল কিছু দিন ধরেই। এ বার সেই প্রতারণার তদন্তে উঠে এল নেপালে থাকা ভুয়ো কল সেন্টারের নাম। এই ঘটনার পিছনে চিনা প্রতারকদের হাত রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

লালবাজার জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে কলকাতা পুলিশের কাছে ঋণ প্রদানকারী অ্যাপের মাধ্যমে সাতটির বেশি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যেখানে ফাঁদে পা দিয়ে চিনা এবং নেপালি প্রতারকদের হুমকির মুখে পড়েছেন অভিযোগকারীরা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কলকাতা পুলিশের এক তদন্তকারী অফিসার জানান, জামতাড়া গ্যাংয়ের আদলেই নেপালের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওই প্রতারণা চক্রচলছে। এ রাজ্যের মতো দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘চাইনিজ় লোন অ্যাপ’ নামে পরিচিত ওই চক্রটি সক্রিয়। কলকাতা পুলিশের সাইবার থানার তদন্তেও নেপালের কিছু ভুয়ো কল সেন্টারের হদিস মিলেছে। যেখানে নেপাল ও চিনের নাগরিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কয়েকজন ভারতীয়ও।

Advertisement

লালবাজার সূত্রের খবর, অ্যাপ-প্রতারণার তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা এখনও পর্যন্ত দেড়শোরও বেশি ভুয়ো ঋণ প্রদানকারী অ্যাপের সন্ধান পেয়েছেন। যা গুগলকে জানানোর পরে তারা প্লে স্টোর থেকে সেগুলি সরিয়ে দিয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, ওই ভুয়ো অ্যাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে প্রতারকেরা প্রতারণার পদ্ধতি বদলে ফেলে। এর পর থেকে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ঋণ দেওয়ার নামে মেসেজ লিঙ্ক পাঠাতে থাকে। সেই লিঙ্ক খোলার চেষ্টা করলেই গ্রাহকের অজানতে তাঁর মোবাইলে থাকা তথ্য হাতিয়ে নেয় প্রতারকেরা। এর পরে তাঁকে ঋণ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এমনকি প্রতারিতের অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা জমাও করে দেয়। তার পরেই ঋণ শোধ করতে মোটা টাকা দাবি করে প্রতারকেরা।

এক তদন্তকারী জানাচ্ছেন, এর পরেই আসরে নামে নেপালে বসে থাকা প্রতারকেরা। তারা ওই ব্যক্তির মোবাইলে থাকা বিভিন্ন নম্বরে বা পরিচিতদের হিন্দি বা ইংরেজিতে ফোন করে হুমকি দিতে থাকে। একই সঙ্গে চলে গালিগালাজ। যার ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে দেখা গিয়েছে, নেপালের কাঠমান্ডু সংলগ্ন এলাকায় ওই ভুয়ো কল সেন্টার খুলে সেখান থেকে ফোন করছে কিছু নেপালি প্রতারক। যাদের পিছনে রয়েছে কিছু চিনা নাগরিক। যারা ওই কল সেন্টার খুলতে এবং চালাতে সাহায্য করেছে। রাজ্য পুলিশের এক গোয়েন্দা-কর্তা জানান, গত বছর উত্তরবঙ্গ থেকে দু’জন চিনা নাগরিককে ধরা হয়েছিল, যারা আর্থিক প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত ছিল। মনে করা হচ্ছে, এর পরে ভারতে আর না এসে নেপাল থেকেই ভুয়ো কল সেন্টারের সাহায্যে প্রতারণা- চক্র চালাচ্ছে অভিযুক্ত ওই চিনা নাগরিকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement