প্রতীকী ছবি।
পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে সোমবার উদ্ধার করা হল শোভাবাজারের এক যৌনকর্মীর কন্যাসন্তানকে। রবিবার রাতেই বড়তলা থানার একটি দল পূর্বস্থলী রওনা হয়। এ দিন সকালে ওই মেয়েটিকে উদ্ধার করে কলকাতায় নিয়ে আসেন তাঁরা। পরে কলকাতা শিশু কল্যাণ সমিতির সামনেও হাজির করানো হয় শিশুটিকে। অঞ্জলি রায় নামে মূল অভিযুক্ত-সহ মোট দু’জনকে এ দিন গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখন সন্তানকে কাছে পেতে গেলে মেয়ের জন্মের শংসাপত্র জমা দিতে হবে দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রিটের বাসিন্দা ওই তরুণীকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বড়তলা থানা এলাকার ওই তরুণী গত ৭ অগস্ট লালবাজারের উইমেন্স গ্রিভান্স সেলে অভিযোগ করেন যে, তাঁর তিন বছরের মেয়েকে নিজের কাছে না রাখার পরামর্শ দিয়েছিল অঞ্জলি। সেই মতো আট মাস আগে বর্ধমানের নবদ্বীপে অঞ্জলির মায়ের কাছে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য মাসে মাসে টাকাও পাঠাতেন তিনি। কিন্তু লকডাউনের আগে যৌনপল্লির কাজ বন্ধ হলে মেয়েকে নিজের কাছে আনতে চাইলে অঞ্জলি চার লক্ষ টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। এর পরে পুলিশে গেলে রবিবার রাতে স্থানীয় একটি ক্লাবের ছেলেরা ওই তরুণীর বাড়িতে চড়াও হয়। সেই ঘটনায় দু’জনকে আটক করে পুলিশ। এর পরে রাতেই পূর্বস্থলী থানার এলাকার পালি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ। সেখানে পণ্ডিতপাড়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। পরে কলকাতায় গ্রেফতার করা হয় অঞ্জলি ও তার সঙ্গী বিট্টু সরকারকে।
তবে সন্তান উদ্ধার হলেও তাকে কী ভাবে কাছে পাবেন, সেটাই এখন বড় চিন্তা ওই তরুণীর। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির জন্মের শংসাপত্র শিশুকল্যাণ সমিতির কাছে জমা দিলে তবেই মেয়েকে নিজের কাছে পাবেন মা। কিন্তু গ্রামের হাসপাতাল থেকে সন্তানের জন্মের সার্টিফিকেট এখনও তোলা হয়নি ওই তরুণীর। ফলে মেয়েকে কাছে পেতে জন্মের শংসাপত্রের অপেক্ষাতেই রয়েছেন তরুণী।