স্বাভাবিক হয়েছে স্কুল। —ফাইল চিত্র।
আদালত ভিডিও-কনফারেন্সের মাধ্যমে অভিযুক্তদের শনাক্তকরণের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু এমপি বিড়লা বা জিডি বিড়লা— কোনও স্কুলের ক্ষেত্রেই অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট শিশুরা।
মঙ্গলবার আলিপুর জেলে ভিডিও-সম্মেলনে টিআই বা শনাক্তকরণ প্যারেডে অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে পারেনি এমপি বিড়লা স্কুলের সেই শিশু। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ওই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় শিশুটির সঙ্গে তার মা-ও হাজির ছিলেন। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিডিও-সম্মেলনে অভিযুক্ত মনোজ মান্না-সহ ১১ জন বন্দিকে রাখা হয়েছিল। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে বিভিন্ন ভাবে প্রত্যেকের ছবি দেখানো হয়। কিন্তু শিশুটি নির্দিষ্ট ভাবে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে পারেনি।
ওই শিশুর পরিজনেদের বক্তব্য, ঘটনাটি প্রায় পাঁচ মাস আগেকার। তখন শিশুটির বয়স ছিল সাড়ে তিন বছর। কয়েক মাস জেলে থাকায় অভিযুক্তের চেহারাতেও পরিবর্তন এসেছে। শিশুটি হয়তো সেই জন্যই তাকে শনাক্ত করতে পারেনি।
জিডি বিড়লা কাণ্ডে সোমবার আলিপুর জেলেই ভিডিও-সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযুক্ত মহম্মদ মফিজুর ও অভিষেক রায়কে শনাক্তকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু ওই স্কুলের শিশু পড়ুয়াও তাদের শনাক্ত করতে পারেনি। তার পরিজনেদের অভিযোগ, ভিডিও-র ছবি ছিল অত্যন্ত নিম্ন মানের। তা ছাড়া চার বছরের একটি শিশুর পক্ষে ১১ জনের মধ্যে থেকে দুই অভিযুক্তকে শনাক্ত করা খুবই কঠিন।
আলিপুর আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই শিশুদের পরিবারের তরফে যদি ফের টিআই প্যারেডের আবেদন জানানো হয়, বিচারক তা মঞ্জুরও করতে পারেন। পক্সো আইনে দ্বিতীয় পর্যায়ে টিআই প্যারেডের সুযোগ রয়েছে।’’