ফি বছর এ ভাবেই দূষিত হয় সরোবর। — ফাইল চিত্র
রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল জাতীয় পরিবেশ আদালত। এর বদলে মঙ্গলবার আদিগঙ্গা এবং মহানগরের অন্যান্য জলাশয়ে ছট পুজো পালন করতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি এস পি ওয়াংদি ও বিশিষ্ট সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ। এই নির্দেশ যাতে কার্যকর হয়, সে জন্য ‘কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট’ এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে আলাদা করে নজরদারির কথা বলা হয়েছে।
শুধু রবীন্দ্র সরোবর নয়, উত্তরবঙ্গের মহানন্দা নদী-সহ সারা রাজ্যের বিভিন্ন জলাশয়ের ক্ষেত্রেই ছট পুজোর বিধি-নিষেধ নিয়ে নির্দেশিকা দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। জাতীয় হ্রদ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় থাকা রবীন্দ্র সরোবরের দূষণ নিয়ে পরিবেশ আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। এ দিন মামলার শুনানিতে তিনি জানান, ছট পুজোর জন্য লেকের জল দূষিত হচ্ছে। নির্বিচারে শব্দবাজি ফাটানোর জন্য বিপদে পড়ছে লেক এলাকার পাখিরা।
তাঁর বক্তব্য শোনার পরে আদালত জানায়, লেক এলাকায় কোনও ছট পুজোর আয়োজন করা যাবে না। বিকল্প হিসেবে আদিগঙ্গা বা অন্য জলাশয়ে ছট পুজো করা যেতে পারে। কিন্তু সে সব জায়গায় প্রশাসনকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। পুজোর পরে সব ফুল-মালা জল থেকে তুলে ফেলতে হবে।
উত্তরবঙ্গের ছট পুজোয় মহানন্দা নদীতে দূষণের অভিযোগ তুলেছিলেন সুভাষবাবু। সে ক্ষেত্রেও নির্দেশ দিয়ে আদালত জানিয়েছে, নদীর একটি নির্দিষ্ট জায়গা ঘিরেই ছট পুজোর ব্যবস্থা করতে হবে। পুজোর পরে শিলিগুড়ি পুরসভা ও এসজেডিএ (শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি)-কে নদী পরিষ্কারের দায়িত্ব নিতে হবে। আদালতের নির্দেশ ঠিক মতো পালন হচ্ছে কি না তা দেখতে হবে দার্জিলিঙের জেলাশাসককে।
রবীন্দ্র সরোবর নিয়ে আদালতের রায়ে অবশ্য সন্তুষ্ট নয় ‘কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট’। তাদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এ দিনের শুনানি নিয়ে তাদের আগে থেকে কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। ফলে আদালতে হাজির থেকে নিজেদের বক্তব্য জানাতে পারেনি তারা।