প্রতীকী ছবি।
অ্যাপ-ক্যাবের মধ্যে এক মহিলাকে খুন করে, তাঁর দেহ নিয়ে সারা দিন শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরার ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দিল পুলিশ। ঘটনার ৬২ দিনের মাথায়, মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে ওই চার্জশিট জমা দেন টালিগঞ্জ থানার তদন্তকারী অফিসার।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩ জুলাই সকাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান চারু মার্কেট এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মী দাস। ওই দিনই চারু মার্কেট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। রাতে পরিবারের সদস্যেরা জানতে পারেন, শিবশঙ্কর মান্না নামে এলাকার এক বাসিন্দার অ্যাপ-ক্যাবে শেষ বার দেখা গিয়েছে লক্ষ্মীকে। তখন ক্যাবটি ছিল সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে। এর পরেই টালিগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হয় লক্ষ্মীর পরিবারের তরফে। শিবশঙ্করকে পুলিশ জেরা করতেই খুনের বিষয়টি সামনে আসে।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রায় দেড়শো পাতার চার্জশিটে ধৃত শিবশঙ্করকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চার্জশিটে পুলিশ দাবি করেছে, শিবশঙ্করের কাছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা পাওনা থাকায় বার বার তাগাদা দিচ্ছিলেন লক্ষ্মী। টাকা জোগাড় করতে না পেরে দিনের বেলায় সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে গাড়ির মধ্যে লক্ষ্মীকে খুন করে বছর পঁয়ত্রিশের শিবশঙ্কর।
তদন্তকারীরা জানান, ওই ঘটনায় ৪০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তাঁদের বয়ান থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, খুনের পরে শিবশঙ্কর শহরে দেহটি নিয়েই ঘুরে বেড়ায়। বিকেলের দিকে বাইপাসের একটি হাসপাতালের কাছে দেহটি ফেলে দিয়ে ফের যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যায় সে। এক তদন্তকারী জানান, চার্জশিটে সব তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয়েছে। তাতে রয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানও।