ফাইল চিত্র।
পড়ুয়াদের দুই সংগঠনের গোলমালের জেরে ফের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও স্টুডেন্টস ইউনিটি— এই দুই সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ দিন ছিল এমবিবিএস-এর চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা। অভিযোগ, পরীক্ষার শেষে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য ও সমর্থকেরা যখন বেরোচ্ছিলেন, তখন তাঁদের কয়েক জনের উপরে আচমকাই হামলা চালান আর জি করের জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন স্টুডেন্টস ইউনিটির সদস্যেরা। অভিযোগ, বহিরাগতদেরও নিয়ে আসা হয়েছিল। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ। খবর পেয়ে টালা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে আসেন আর জি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, বিধায়ক সুদীপ্ত রায়, অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষও। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের দাবি, কয়েক মাস আগে আর জি করে অচলাবস্থা তৈরি করেছিলেন স্টুডেন্টস ইউনিটির সদস্যেরা। তার প্রতিবাদ করেছিল ছাত্র পরিষদ। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই পরীক্ষার সময়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে। মারধরের ফলে কয়েক জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
যদিও অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করছেন স্টুডেন্টস ইউনিটির সদস্যেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঘটনার সূত্রপাত ১৯ মার্চ। ওই দিন বিকেলে এক ইন্টার্ন কাজের ফাঁকে চা খেতে বেরিয়েছিলেন। তিনি কয়েক মাস আগে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন। অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা এবং সতীর্থেরা ওই ইন্টার্নকে উদ্ধার করতে গেলে তাঁদের উপরেও হামলা হয় বলে অভিযোগ। স্টুডেন্টস ইউনিটির সদস্যদের আরও দাবি, ঘটনার প্রতিবাদে কলেজে পোস্টার লাগানো হয়েছিল। কিন্তু রবিবার রাতে তা ছিঁড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধে। এ দিন তাঁরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য ও সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন।
কয়েক মাস আগে ওই মেডিক্যাল কলেজে বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে টানা বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন এক দল পড়ুয়া-চিকিৎসক ও ইন্টার্ন। দীর্ঘ দিন বিক্ষোভ চলার পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিন্তু ফের দু’পক্ষে গোলমালের জেরে উত্তপ্ত আর জি কর। সুদীপ্তবাবু বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিয়ে বেরোনোর সময়ে তাঁদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কোনও ভাবেই বিশৃঙ্খলাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’’