Firhad Hakim

মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলিকে সাহায্য করেন, তাই কেন্দ্র চাপ দিচ্ছে: ফিরহাদ

আয়কর দফতরের এই নজরদারি নিয়ে ফের তোপ দাগলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:২৫
Share:

মেয়র ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল চিত্র।

উৎসমূলে কর কেটে (টিডিএস) তা আয়কর দফতরের কাছে জমা করে না বেশির ভাগ পুজো কমিটি। সেই কারণ দেখিয়ে কলকাতার ৪০টি প্রধান পুজো কমিটিকে তলব করেছিল আয়কর দফতর। সোমবার ওই পুজো কমিটিগুলির কর্তাদের গত বছরের পুজোর সবিস্তার হিসেব নিয়ে আয়কর ভবনে দেখা করতে বলা হয়েছিল। এ দিন আয়কর দফতরে যান ১০টি পুজো কমিটির প্রতিনিধিরা। তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন আয়কর দফতরের কর্তারা। তাঁরা যথেষ্ট নথিপত্র দেখাতে না পারায়, ফের তলব করা হয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, আগামী শুক্রবার ৩০টি পুজো কমিটিকে আয়-ব্যয়ের নথিপত্র নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

Advertisement

আয়কর দফতরের এই নজরদারি নিয়ে ফের তোপ দাগলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে সাহায্য করেন। তাই কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের কাজ করছে। কোটি কোটি টাকা নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আর এখানে দুর্গাপুজো নিয়ে ধড়পাকড় চলছে।’’

মূলত যাঁরা থিম পুজো করেন, সেই সব পুজো উদ্যোক্তাদের তলব করা হয়েছে।পুজোয় কোন খাতে কত টাকা আয়-ব্যয় হল তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কিন্তু সেই আইনের প্রয়োগ নিয়ে সেভাবে কোনও দিনই মাথা ঘামায়নি আয়কর দপ্তর।আয়কর দফতর সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে একবার উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সেটা বেশি দূর এগোয়নি। কলকাতার যেসব নামী পুজো কমিটিগুলিকে তলব করা হয়েছে, সেগুলির সঙ্গে তৃণমূল নেতারাযুক্ত। সে কারণেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, এর নেপথ্যে রাজনীতির যোগ রয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: বীরভূমের বাইরেও ‘কেষ্ট দাওয়াই’-এর ভাবনা? আরও বড় দায়িত্ব পাচ্ছেন অনুব্রত​

আরও পড়ুন: ‘সিঙ্ঘম’ হতে গিয়ে বেকায়দায়, আলিপুরদুয়ারের ডিএম-কে ছুটিতে পাঠিয়ে দিল নবান্ন​

শহরের এক নামী পুজো উদ্যোক্তা বলেন, “দুর্গাপুজোর সঙ্গে কোনও অনৈতিক কাজ জড়িত নয়। আয়-ব্যয়ের হিসাব জানতে চেয়েছেন ওঁরা। আমরা জানিয়ে দেব।’’

আয়কর দফতর যে রিটার্ন দাখিল করতে বলেছে বা বিস্তারিত তথ্য দিতে বলেছে,তা জমা দিতে গেলে এই পুজো কমিটিগুলির কেবলমাত্র প্যান কার্ড থাকলেই হবে না, থাকতে হবে ট্যান কার্ড।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement