নির্মলা সীতারামন ও অমিত মিত্র ফাইল চিত্র
করোনার টিকা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ‘জিএসটি শূন্য’ করতে অধ্যাদেশ আনুক কেন্দ্রীয় সরকার। এই মর্মে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। শনিবার জিএসটি কাউন্সিলের ৪৪তম বৈঠক শেষে এই চিঠিটি লিখেছেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি লিখেছেন, ‘‘কোভিড সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমি মূলত দু’টি প্রস্তাব রাখছি। প্রথমত, করোনা সংক্রমনের তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে এখনই করোনা টিকা ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে জিএসটি শূন্য করা হোক।’’ দ্বিতীয়ত, তিনি লিখেছেন, ‘‘দেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই বিষয়টি কার্যকর করতে আইনে বদল এনে একটি অধ্যাদেশ আনুক কেন্দ্র।’’
জিএসটি কাউন্সিলের ৪৪তম মিটিংয়ে যা হয়েছে তা অগণতান্ত্রিক বলে অভিযোগ করেছেন অমিত। তিনি লিখেছেন, ‘‘জিএসটি কাউন্সিলের এই বৈঠকে গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর ভাবনার নীতিকে মানা হয়নি।’’ শনিবারই কেন্দ্র জানিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সের উপর জিএসটি নেওয়া হবে ১২ শতাংশ। তবে আরটিপিসিআর যন্ত্র, আরএনএ এক্সট্র্যাকশন যন্ত্র, জিনোম সিকোয়েন্সিং যন্ত্রের উপর আগের মতোই ১৮ শতাংশ জিএসটি বহাল থাকবে। জিনোম সিকোয়েন্সিং কিটের উপর আগের মতোই ১২ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হবে।
তার পরেই শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁরা অভিযোগ করেন, টিকা ও জীবনদায়ী ওষুধের উপর পণ্য ও পরিষেবা কর বসিয়ে মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে কেন্দ্রের মোদী সরকার।