Kolkata Doctor Rape and Murder

অভিযুক্তের আচরণ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে দিল্লি থেকে সিবিআই দল কলকাতায়, হবে মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

পিটিআই জানিয়েছে, দিল্লির সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (সিএফএসএল) থেকে মনস্তত্ত্ব এবং আচরণ বিশেষজ্ঞদের একটি দল শনিবার কলকাতায় এসেছে। আরজি কর-কাণ্ডে ধৃতের বিশ্লেষণ করা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৪ ১০:১৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

আরজি কর-কাণ্ডে ধৃতের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করবে সিবিআই। দিল্লি থেকে তার জন্য বিশেষ দল এসেছে কলকাতায়। শনিবার রাতেই ওই দল কলকাতায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। ধৃতের আচরণ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করবেন বিশেষজ্ঞেরা। তিনি যে বয়ান দিচ্ছেন, তা সঠিক কি না, কোনও তথ্য তিনি গোপন করছেন কি না, তাঁর আচরণে কোনও অসঙ্গতি রয়েছে কি না, পর্যবেক্ষণ করা হবে।

Advertisement

পিটিআই জানিয়েছে, দিল্লির সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (সিএফএসএল) থেকে মনস্তত্ত্ব এবং আচরণ বিশেষজ্ঞদের একটি দল শনিবার কলকাতায় এসেছে। আরজি কর-কাণ্ডে ধৃতের বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করবেন সিএফএসএল আধিকারিকেরা। সেই রিপোর্ট জমা দেবেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের কাছে। সেই অনুযায়ী তদন্ত এগোবে। তদন্তের অগ্রগতির জন্য সিএফএসএল-এর এই রিপোর্ট জরুরি বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। হাসপাতালে তাঁর অবাধ যাতায়াত ছিল বলে অভিযোগ। কলকাতা পুলিশের হাত থেকে সেই অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। হাই কোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত করছে তারা। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে গিয়েছিল সিবিআই। ঘটনার পুনর্নির্মাণের উদ্দেশে তাঁকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ঘটনার দিন সেমিনার হলের দিকে তাঁকে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল সিসিটিভি ফুটেজে। পরে পুলিশ জানায়, অপরাধের কথা জেরার মুখে তিনি স্বীকার করেছেন।

Advertisement

আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গত দু’দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। রবিবার সকালে আবার তাঁকে তলব করা হয়েছে। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই আরজি করে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, তিনি অত্যন্ত ‘প্রভাবশালী’। তদন্তেও প্রভাব খাটাতে পারেন। এর পর অধ্যক্ষের পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন। আদালতের নির্দেশে আপাতত তিনি ছুটিতে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর থেকে আরজি কর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকেরা কর্মবিরতির ডাক দেন। ক্রমে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের নানা প্রান্তে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement