অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে বিশিষ্টরা। নিজস্ব চিত্র।
দ্বাদশ শ্রেণির পর কোন বিষয়ে পড়ব? উচ্চশিক্ষার জন্য কোন কোন প্রতিষ্ঠান ভাল? দ্বাদশের পরেই চাকরি, না কি ব্যবসা করা উচিত? পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং সমাধানের রাস্তা দেখাতে শুরু হল ‘কেরিয়ার ফেয়ার’। গত শনিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এই মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানে বহু শিক্ষাবিদও উপস্থিত ছিলেন। তিন দিনের এই ‘এডুকেশন ইন্টারফেস’ শেষ হবে ৬ জুন। সহযোগিতায় বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
‘কেরিয়ার ফেয়ার’ এমন একটি উদ্যোগ, যেখানে পড়ুয়া, অভিভাবক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এক ছাতার নীচে আনা হয়। উদ্দেশ্য, উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান।
২০ বছর ধরে নিয়মিত আয়োজিত হত এই মেলা। কিন্তু গত বার বাধ সাধে করোনা অতিমারি। এ বছর আবার আয়োজিত হচ্ছে ‘কেরিয়ার ফেয়ার’। ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, সংবাদমাধ্যম, হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ব্যবসা, আইটিআই, নার্সিং, ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, আর্কিটেকচার, পলিটেকনিক— এমন নানা বিষয়ে উৎসাহী এবং যাঁরা পড়াশোনা করছেন, সবার জন্যই এই মেলা। স্কুল কিংবা কলেজ শেষে উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি জানা যাবে এই মেলায়। এ বারের মেলায় যোগ দিয়েছে ২৫০-র বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
‘কেরিয়ার প্ল্যানার এডু ফেয়ার’-এর প্রতিষ্ঠাতা দীপক সিংহ রায় বলেন, “প্রত্যেক পড়ুয়ার মনে উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন থাকে। স্কুলের পর কোন দিকে এগোনো উচিত, তা নিয়ে থাকে ধন্দ। কিন্তু এটাই কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ মোড়। স্কুলের পড়া শেষে কোন পথে এগোলে তা ভবিষ্যতের জন্য ভাল হবে, কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা যাবে, সে সব কিছুর হদিশ দেবে এই মেলা।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘গত দু’দশকের বেশি সময় ধরে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীকে আমরা সঠিক দিশা দেখিয়ে এসেছি এবং ভবিষ্যতেও তাদের এগোনোর পথ বাতলে দেব।’’
গত শনিবার ‘কেরিয়ার ফেয়ার’-এ উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির উপাচার্য সৈকত মৈত্র। এ ছাড়াও ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব প্রফেশনাল অ্যাকাডেমিক ইনস্টিটিউশনের সভাপতি তথা জেআইএস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তরঞ্জিত সিংহ, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সত্যম রায়চৌধুরী প্রমুখ।