চুরমার: ভারী গাড়ির ধাক্কায় এমনই অবস্থা ছোট গাড়িগুলির। রবিবার, বিদ্যাসাগর সেতুতে। নিজস্ব চিত্র
বিদ্যাসাগর সেতু (দ্বিতীয় হুগলি সেতু) থেকে কলকাতার দিকে আসছিল সব গা়ড়ি। তখনই তীব্র গতিতে আসা একটি ভারী গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরপর ছ’টি গাড়িকে ধাক্কা মারে। রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ এ ভাবেই মালবোঝাই বড় গাড়ির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই গা়ড়িগুলি। আহত তিন জন।
পুলিশ জানিয়েছে, ধাক্কা মেরে মালবোঝাই গা়ড়ির চালক পালিয়ে যান। বিদ্যাসাগর ট্র্যাফিক গার্ড এবং হেস্টিংস থানার পুলিশ আহত তিন জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছে়ড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার জেরে সেতুতে প্রায় আধ ঘণ্টা যানজট হয়। ক্রেন আনিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি সরানোর পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, মালবোঝাই গাড়িটির গতি বেশি ছিল। ব্রেক ফেল করায় ছ’টি গাড়িকে ধাক্কা মারে সেটি। গাড়ির ধাক্কায় সামনে থাকা প্রথম গাড়িটির পিছনের অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক যাত্রীও আহত হয়েছেন। একই ভাবে সামনে থাকা আরও পাঁচটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অভিযুক্ত গাড়িচালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর দায়ে মামলা রুজু করেছে হেস্টিংস থানার পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে, বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোয় চালকদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা সত্ত্বেও বারবার একই ঘটনা কেন?
আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে জরিমানার বিধান থাকায় বেশির ভাগ সময়েই অভিযুক্তেরা টাকা দিয়ে পার পেয়ে যান। তাই আইনে সংশোধন আনা জরুরি।’’ যদিও লালবাজারের এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘আইন সংশোধন করা হলেও চালক সচেতন না হলে কাজের কাজ কিছুই হবে না।’’