সকাল থেকেই ঝকঝকে রোদ দিয়ে শুরু হয়েছিল দিনটা। বসন্তোৎসবের দিন বেলা যত গড়িয়েছে, বেড়েছে রোদের তেজ। কিন্তু মার্চের শেষে এসেও দোলের দিন কিন্তু স্বাভাবিকের মাত্রা ছাড়ায়নি গরম!
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা কি না এ সময়ের স্বাভাবিক। তবে আবহবিদদের পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবার থেকে দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। চলতি সপ্তাহেই কলকাতার তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বস্তুত, এ দিনই ছিল বিশ্ব আবহাওয়া দিবস। এ বার জলবায়ু বদলকে সামনে রেখেই এই দিবসকে পালন করার কথা জানিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থা ‘ইন্টার-গভার্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (আইপিসিসি) তাদের সর্বশেষ রিপোর্টে জানিয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে আবহাওয়ায় বদল আসবে। গ্রীষ্মকালে তাপপ্রবাহ বাড়বে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বদলে যাবে বিভিন্ন ঋতুর ছন্দ। বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবারই একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতরও।
আরও পড়ুন- পরিস্রুত পানীয় জল নিয়ে রাজ্যের দাবি প্রশ্নের মুখে
এই প্রক্রিয়া যে শুরু হয়েছে, তার ইঙ্গিত মিলেছে গত বছরই। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৫ সাল গরমে রেকর্ড গড়েছে। শুধু তাই নয়, ২০১১-’১৫ এই সময়কালও পাঁচ বছরের গড় গরমও রেকর্ড। এবং আবহবিদদের একাংশের পূর্বাভাস, ২০১৬ সাল কিন্তু গরমের নিরিখে আগের বছরকেও ছাপিয়ে যেতে পারে।
এ দিন পারদ মাত্রা না ছাড়ালেও মার্চের শেষ থেকেই গরম খেল দেখাবে কি না, সেই আশঙ্কা কিন্তু ঘুরে বেড়াচ্ছে আবহবিদদের মনেও। তাঁদের অনেকে বলছেন, গত পাঁচ বছরে এ দিনে তিন বার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করেছে। মার্চের শেষ থেকেই চড়তে শুরু করেছিল পারদ। এপ্রিলেই দেখা গিয়েছিল তাপপ্রবাহ। এক আবহবিদের কথায়, ‘‘এ বার তো প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো রয়েছে। ফলে গরম যে মাত্রা ছাড়াবে, সে আশঙ্কা তো রয়েইছে।’’