পরীক্ষা কবে হবে জানা নেই, ফাঁপরে পড়ুয়ারা

ফাঁপরে পড়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। যদিও কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, দ্রুত বিষয়টি পরিষ্কার করে জানানো হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:২২
Share:

—ফাইল চিত্র।

শুরু হয়েছে স্নাতকোত্তরের ক্লাস। কিন্তু পরীক্ষা কবে জানা নেই। তাই পঠনপাঠনের বিন্যাসও করা যাচ্ছে না। ফাঁপরে পড়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। যদিও কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, দ্রুত বিষয়টি পরিষ্কার করে জানানো হবে।

Advertisement

চলতি বছর থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে কেন্দ্রীয় ভাবে সিবিসিএস (চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম) ও সিমেস্টার পদ্ধতি চালু হয়েছে। কিন্তু ক্লাস শুরু হলেও জানা যাচ্ছে না প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা কবে হবে। যে সমস্ত বিভাগে প্রথম বার সিমেস্টার পদ্ধতি চালু হচ্ছে সেখানে অসুবিধা তো রয়েছেই, এমনকি যে বিভাগগুলিতে প্রায় দশ বছর আগে থেকেই সিমেস্টার পদ্ধতি চালু রয়েছে, সেখানেও পুরনো নিয়মে পড়ানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। অর্থনীতি বিভাগে ২০০৮ সালে সিমেস্টার পদ্ধতি চালু হয়। নিয়ম মেনে ডিসেম্বরে প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু কেন্দ্রীয় ভাবে নির্দেশিকা না বেরোনোয় সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না শিক্ষকেরা।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন কুটা-র সহ-সভানেত্রী মহালয়া চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শুনছি পরীক্ষার সূচিও কেন্দ্রীয় ভাবে জানানো হবে। কিন্তু কবে হবে, সেটাই বুঝতে পারছি না। তাই পড়াতেও অসুবিধা হচ্ছে। অর্থনীতি বিভাগে গত দশ বছর ধরে ১২ সপ্তাহ ক্লাস করার পরে এক সপ্তাহ ছুটি দিয়ে প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়া হত। এ বার সেটাও করানো যাচ্ছে না।’’ এক বিভাগীয় প্রধান বলেন, ‘‘কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের দিকেই তাকিয়ে রয়েছি।’’

Advertisement

যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, দ্রুত নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে। এক ডিন বলেন, ‘‘এটা সকলেরই জানা যে ডিসেম্বরের শেষে না হলে জানুয়ারির শুরুতে প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা হবে। সেই লক্ষ্যেই ক্লাস করানো উচিত। দ্রুত নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হবে। এটা সমস্যা বলে মনে করি না।’’

শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, বিস্তারিত আলোচনা ছাড়া এবং শিক্ষকদের অধিকাংশের মত না শুনেই কর্তৃপক্ষ সিবিসিএস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাতেই গোল বেধেছে। এই পদ্ধতিতে কখন পরীক্ষা হবে, তা পড়ুয়ারা ক্লাস শুরুর আগেই জানতে পারেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সবটাই অনিশ্চিত। এই অনিশ্চয়তা বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিমার পরিপন্থী বলেই অভিযোগ শিক্ষকদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement