ফাইল চিত্র
রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে ঘুরে বেড়ানো কুকুরদের দায়িত্ব নিতে উৎসাহীদের উদ্দেশে ফেসবুকে আবেদন জানালেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা। পদার্থবিদ্যা বিভাগের ওই শিক্ষিকা সায়েন্স কলেজে থাকা কুকুরদের ছবি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘‘যদি কোনও কুকুরপ্রেমী সংস্থা এই অসহায় কুকুরগুলোর দায়িত্ব নিতে চান, সেক্রেটারি, রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজকে সত্বর যোগাযোগ করুন।’’
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই রাজাবাজার ক্যাম্পাসের পড়ুয়া ও অন্য শিক্ষকেরাও জানাচ্ছেন, কুকুরের সংখ্যা এখানে বাড়ছে। যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কুকুরদের দেখার জন্য ২০১২ সাল থেকে ব্যবস্থা রয়েছে। তৎকালীন উপাচার্য মালবিকা সরকারের সম্মতিতে বিষয়টিতে উদ্যোগী হন তখকার ডিন অব স্টুডেন্টস দেবশ্রুতি রায়চৌধুরী। তৈরি হয় বিশেষ কমিটি। এর পরে দেবশ্রুতি প্রেসিডেন্সি ছেড়ে চলে গেলেও ওই ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ানো কুকুরদের দেখভাল নিয়মিত হয়। জীব-বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র পবিত্র দেঁড়ে শুক্রবার জানান, ওই কুকুরদের নির্বীজকরণ এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন খাবার দেন এক জন। এর খরচ পড়ুয়ারা চাঁদা তুলে চালান।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিজিৎ চক্রবর্তী উপাচার্য থাকাকালীন ক্যাম্পাসের কুকুরদের দেখভালের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছিল। এগিয়ে এসেছিলেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক দেবাশিস রায়। এখনও দেবাশিসবাবু সেই কাজ করেন। তাঁকে অন্য শিক্ষকেরাও সাহায্য করেন। ক্যাম্পাসে অসুস্থ কুকুরদের রাখার খাঁচা রয়েছে। নির্বীজকরণ ও অন্য চিকিৎসার বিষয়টিও দেখেন দেবাশিসবাবু। তিনি জানান, ক্যাম্পাসের হস্টেলগুলিতে উদ্বৃত্ত ভাতের সঙ্গে কুকুরগুলিকে মাংস দেওয়া হয়। মাংসের খরচ তিনিই দেন।
তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও তেমন ব্যবস্থা নেই। নিরুপায় হয়ে তাই পদার্থবিদ্যার ওই শিক্ষিকা ফেসবুকে এমন পোস্ট দিয়েছেন। বিজ্ঞান সচিব অমিত রায় জানান, কুকুরগুলির দেখভালের দায়িত্ব কোনও সংস্থা নিলে ভাল হয়।