— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে-কে সোমবার আবার ঘেরাও করল শাসকদলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। এ দিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ঘেরাও হয়ে থাকেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁর গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হয়নি। টানা পাঁচ ঘণ্টা শান্তা গাড়ির মধ্যে বসে থেকে তার পরে গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যান।
গত শুক্রবার ক্যাম্পাসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার পরে এ দিন টিএমসিপি অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেয়। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকের গেট দিয়ে দুপুর তিনটে নাগাদ শান্তা ঢুকতে চাইলে তাঁর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েক জন সমর্থক। তখন থেকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য গাড়ির মধ্যেই বসে থাকেন। টিএমসিপি নেতা অভিরূপ চক্রবর্তী এ দিনও দাবি করেন, অন্তর্বর্তী উপাচার্যের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। উনি সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে চেয়ার আটকে রেখেছেন। নীল বাতি লাগানো গাড়িতে চড়ছেন।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠক চলাকালীন বেশ কয়েকটি গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল টিএমসিপি। শেষে রাত ১২টা নাগাদ পুলিশি তৎপরতায় অন্তর্বর্তী উপাচার্য-সহ অন্য সিন্ডিকেট-সদস্যেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যেতে পেরেছিলেন। ওই ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদকেই কার্যত সমর্থন করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রবিবার তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য। তিনি জানিয়েছিলেন, যাঁরা এই কাজ করছেন, তাঁরা কেউই ছাত্র নন। শান্তা আরও জানিয়েছিলেন, তিনি আইনমাফিক পদে রয়েছেন।
সোমবার রাত আটটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে আসার পরে অন্তর্বর্তী উপাচার্য বলেন, ‘‘আমি লালবাজারে ও জোড়াসাঁকো থানায় সব জানিয়েছি। পুলিশ এলেও তারা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ছিল। কোনও সাহায্য তাদের কাছ থেকে পাইনি।‘‘ তিনি আরও জানান, গোটা বিষয়টি তিনি রাজভবনেও জানিয়েছেন। এ দিন ঘেরাও চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (কুটা)-র প্রতিনিধিরা অন্তর্বর্তী উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। ‘ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়িজ় ইউনিয়ন’-এর তরফে শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় এ দিনের ঘটনার নিন্দা করেছেন।