ফাইল চিত্র।
একটি বধূ নির্যাতনের ঘটনার তদন্তে উল্টোডাঙা মহিলা থানার ভূমিকা নিয়ে বৃহস্পতিবার অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে, পুলিশ কমিশনারকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথাও বলেছিল হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে শেষ পর্যন্ত সরকারি কৌঁসুলি শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় সেই নির্দেশ দেয়নি আদালত। তার বদলে আগামী ২৮ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসারকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উল্টোডাঙা থানা এলাকার বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে বছর তিনেক আগে বিয়ে হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা এলাকার এক যুবকের। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের কারণে গত জুলাইয়ে সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি ফিরে আসেন ওই তরুণী। অগস্টে উল্টোডাঙা মহিলা থানায় স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির কয়েক জনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। স্ত্রী-ধন ফেরতের আবেদনও জানান। তার জেরে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
সেই মামলার শুনানিতে তদন্তকারী মহিলা অফিসারকে স্ত্রী-ধন ফেরত ও তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। অভিযোগকারিণীর শ্বশুরবাড়ি পক্ষের আইনজীবী প্রসূন দত্ত জানান, রিপোর্ট জমা দিতে ডিভিশন বেঞ্চ দু’বার নির্দেশ দিলেও তদন্তকারী অফিসার তা আদালতে জমা দেননি। সেই সঙ্গে তদন্তের প্রয়োজনে যে মহিলার শ্বশুরবাড়িতেও যায়নি পুলিশ, সে কথাও আদালতে জানান ওই আইনজীবী। এতেই ক্ষুব্ধ হয় হাইকোর্ট।
পরে সরকারি আইনজীবী আদালতে জানান, ওই তদন্তকারী অফিসার ভবিষ্যতে আর এমন ভুল করবেন না। সেই সঙ্গে হাতে লেখা একটি রিপোর্টও যে তদন্তকারী অফিসার সঙ্গে এনেছেন, তা আদালতকে জানান ওই আইনজীবী। যা শুনে পুলিশ কমিশনারের হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি বাগচী। আগামী ২৮ নভেম্বর ওই তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তদন্তকারী অফিসারকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।