ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ আপাতত বন্ধ। নিজস্ব চিত্র।
মেট্রো প্রকল্পের কাজের জেরে এলাকার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতেই মঙ্গলবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিল, আপাতত বন্ধ রাখতে হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর।
গত ৬ অগস্ট একটি অসরকারি সংগঠন হাইকোর্টে ওই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। সেখানে অভিযোগ করা হয়, মেট্রো প্রকল্পের কাজের জন্য বৌবাজার এলাকার একাধিক বাড়িতে চিড় ধরেছে। বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কার কথাও বলা হয় অভিযোগে। সেই মামলার শুনানি চলছিল হাইকোর্টে। তার মধ্যেই গত শনিবার থেকে ওই এলাকায় ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর প্রকাশ্যে আসতে থাকে। আইনজীবী ঋজু ঘোষাল সেই ঘটনার উল্লেখ করে ওই মামলাটি ফের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার দ্রুত শুনানির আবেদন জানান। এ দিন সেই শুনানি ছিল।
ঋজু পরে জানান, বিচারপতি শুনানির পর জানিয়েছেন, আপাতত বন্ধ রাখতে হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ। একই সঙ্গে বিচারপতি জানিয়ে দেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এক জন করে সদস্য জিনিসপত্র আনার জন্য নিজেদের বাড়িতে ঢুকতে পারবেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর মেট্রো কর্তৃপক্ষকে সবিস্তার রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন তিনি। এ দিনের শুনানির সময় মেট্রো কর্তৃপক্ষ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বিষয়টি মেনে নিয়েছেন বলেও ঋজুর দাবি।
শনিবার থেকে বৌবাজার এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল এবং ভেঙে পড়ার মতো ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৭৫ জন ঘরছাড়া। বেশির ভাগ বাসিন্দাই মূল্যবান নথিপত্র, টাকাপয়সা বা কোনও সম্পদই নিয়ে আসতে পারেননি। অনেকেই এক কাপড়ে বাড়ি ছেড়়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা বাড়ি থেকে ওই সব মূল্যবান জিনিসপত্র আনার দাবি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তার কারণেই পুলিশ, মেট্রো এবং পুরসভা কর্তৃপক্ষ তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না। হাইকোর্টের নির্দেশের পর সেই সব পরিবারের এক জন করে আপাতত নিজেদের বাড়িতে ঢুকতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ব্যারাকপুর হিংসা নিয়ে এ বার ডিজিকে তলব করে কথা বললেন রাজ্যপাল
আরও পড়ুন: সাড়ে ৩ ঘণ্টার বৈঠকে ‘ওভারথ্রো’ আটকালেন মুকুল, বিজেপিতেই রয়েছি, জানালেন শোভন-বৈশাখী