Pension

পেনশন দিতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

বাবা মারা যাওয়ার ১৩ বছর পরে, ২০১০ সালে পারিবারিক পেনশন পাওয়ার জন্য স্কুলশিক্ষা দফতরের যুগ্ম সচিবের কাছে দরখাস্ত করেন চম্পা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:০০
Share:

পেনশন দিতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।

এক শিক্ষাকর্মীর অবিবাহিতা মেয়েকে আট সপ্তাহের মধ্যে ‘পারিবারিক পেনশন’ দিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশ দেয়।

Advertisement

চম্পা রায়চৌধুরী নামে ওই মহিলার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, তাঁর মক্কেলের বাবা রণধীররঞ্জন রায়চৌধুরী উত্তর ২৪ পরগনার সুখচর শতদল বালিকা বিদ্যায়তনের শিক্ষাকর্মী ছিলেন। ১৯৯৭ সালে ওই ব্যক্তি মারা যান। সেই সময়ে তিনি পেনশন পেতেন।

বাবা মারা যাওয়ার ১৩ বছর পরে, ২০১০ সালে পারিবারিক পেনশন পাওয়ার জন্য স্কুলশিক্ষা দফতরের যুগ্ম সচিবের কাছে দরখাস্ত করেন চম্পা। তিনি আবেদনপত্রে জানান, বাবার মৃত্যুর বছর থেকে তাঁকে ওই পেনশন দেওয়া হোক। ২০১১ সালে ২ জুন পেনশন ও প্রভিডেন্ট ফান্ড দফতরের সহকারী অধিকর্তা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে জানতে চান, চম্পাকে পারিবারিক পেনশন দেওয়া যায় কি না তা বিবেচনা করে দেখতে।

Advertisement

মহিলার অভিযোগ, বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। তার জেরে ২০১৮ সালে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি। বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়, ওই বছরের ২৭ নভেম্বর নির্দেশ দেন, ২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল থেকে পারিবারিক পেনশন দিতে। আট সপ্তাহের মধ্যে ওই পেনশন চালু করে দিতে বলেন বিচারপতি।

ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে। রাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়, মহিলা বাবার মৃত্যুর ১৩ বছর পরে পেনশনের আবেদন করেন। এত দেরি করে আবেদন জানানো যায় না। আইনজীবী ফিরদৌস আদালতে জানান, পেনশন ও প্রভিডেন্ট ফান্ড দফতরের সহকারী ডিরেক্টর ২০১১ সালে বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেন। দেরি হলে তিনি বিবেচনা করতে বলতেন না। পারিবারিক পেনশনের বিধি মানা হলে মহিলা তা পাওয়ার যোগ্য। ডিভিশন বেঞ্চ

রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, পারিবারিক পেনশনের বকেয়া টাকা ৮ শতাংশ সুদ-সহ মেটাতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement