কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
বিধাননগরের একটি অবৈধ আবাসন নিয়ে মামলায় সেখানকার বাসিন্দাদের আদালতে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার তাঁদের কোর্টে হাজির হতে হবে। সোমবার বিকেলে মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই বহুতলের ১৬টি ফ্ল্যাটের মালিকদের আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে। বহুতলটি ভেঙে ফেলা হবে কি না, তাঁদের বক্তব্য শোনার পরেই সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। তবে ফ্ল্যাটমালিকেরা যদি হাজির না হন, তা হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ওই বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দেবেন বিচারপতি। আজ, মঙ্গলবার রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের সংশ্লিষ্ট স্টেশন ম্যানেজারকেও হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ দিন দুপুরে মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, পুলিশি পাহারায় এ দিনই ওই অবৈধ বহুতলটি ভাঙতে হবে। দুপুর সাড়ে তিনটেয় বিধাননগর পুরসভার সংশ্লিষ্ট পুরপ্রতিনিধি চামেলি নস্করকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। যদিও চামেলি সেই সময়ে আসেননি। দুপুর সাড়ে তিনটেয় পুরসভার আইনজীবী আদালতে জানান, ওই বহুতলের আবাসিকেরা নির্মাণ ভাঙার কাজে বাধা দিচ্ছেন। বিচারপতি তখন বলেন, ‘‘পুলিশকে লাঠি চালাতে বলুন। প্রয়োজনে তারা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে পারে।’’ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় যাতে পুরপ্রতিনিধি হাজির হন, তা-ও নিশ্চিত করতে বলেন তিনি। বিকেলে চামেলি আদালতে এসে জানান, ২০২২ সালে তিনি পুরপ্রতিনিধি হয়েছেন। কোনটি আইনি এবং কোনটি বেআইনি নির্মাণ, সেটা জানেন না। বিচারপতি তাঁকে বলেন, ‘‘তা হলে আপনি পদত্যাগ করুন। আপনি অপদার্থ।’’
পুলিশ সূত্রের দাবি, তারা ওই বাড়ির সামনে কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও সেখানকার বাসিন্দাদের সরাতে পারেনি। এ কথা আদালতেও জানান পুরসভার আইনজীবী। তা শুনে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘আমি ধরে নিচ্ছি, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সে ক্ষেত্রে ওই অবৈধ নির্মাণটি ভাঙার জন্য সিআরপিএফ মোতায়েন করার নির্দেশ দেব।’’
আদালত সূত্রের খবর, বিধাননগরের শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা এক বৃদ্ধা কোর্টে মামলা করে জানিয়েছিলেন, স্থানীয় এক প্রোমোটার তাঁর বাড়ি এবং লাগোয়া অংশে নির্মাণ করেছেন। নির্মাণের পরে ওই বৃদ্ধা জানতে পারেন, সেটি অবৈধ। এর পরে সংশ্লিষ্ট প্রোমোটার এবং পুরসভাকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি।