Calcutta High Court

‘অবৈধ’ স্কুলের পড়ুয়াদের দায়িত্ব কর্তৃপক্ষেরই, বলল হাই কোর্ট

অফিসারকে ঘুষ দেওয়া নিয়ে যে কথা হয়েছিল, তা মেনে নিয়েছেন স্কুলের আইনজীবী। তিনি জানান, দু’জন শিক্ষক বলেছিলেন, স্পেশ্যাল অফিসারকে ঘুষ দিলে সমস্যা হবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:০৬
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

মধ্য কলকাতার বৈধতা বাতিল হওয়া স্কুলের পড়ুয়ারা কী ভাবে বোর্ডের পরীক্ষায় বসবে, তা নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকেই। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি এ দিন বলেন, ভবিষ্যতে পড়ুয়াদের কোনও সমস্যা হলে দায়বদ্ধ থাকবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের বোর্ডের পরীক্ষায় বসানোর জন্য কী ব্যবস্থা করা হবে, সে ব্যাপারে রিপন স্ট্রিটের ওই স্কুল কর্তৃপক্ষকে আদালতে হলফনামা দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ অক্টোবর।

Advertisement

এই স্কুলের সমস্যা নিয়ে আগের শুনানিতে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্যকে স্পেশ্যাল অফিসার নিয়োগ করেছিলেন বিচারপতি বসু। তাঁকে স্কুলের নথি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলেছিলেন। এ দিন কোর্টে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ আনেন স্পেশ্যাল অফিসার। তিনি জানান, স্কুলের বিরুদ্ধে যাতে রিপোর্ট না দেওয়া হয়, তার জন্যই ঘুষ দিতে চাওয়া হয়েছিল। তাঁকে স্কুলের রেজিস্টার দেখতে দেওয়া হয়নি। স্পেশ্যাল অফিসার আরও জানান, এই মামলায় তাঁর যে পারিশ্রমিক কোর্ট নির্ধারণ করেছে, তা তিনি রামকৃষ্ণ মিশনে দান করবেন।

অফিসারকে ঘুষ দেওয়া নিয়ে যে কথা হয়েছিল, তা মেনে নিয়েছেন স্কুলের আইনজীবী। তিনি জানান, দু’জন শিক্ষক বলেছিলেন, স্পেশ্যাল অফিসারকে ঘুষ দিলে সমস্যা হবে না। একই সঙ্গে স্কুলের আইনজীবীর দাবি, তিনি ওই দুই শিক্ষকের কথার বিরোধিতা করে বলেন, এই স্পেশ্যাল অফিসার কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না। স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি বলেছেন, ‘‘আপনারা স্পেশ্যাল অফিসারকে রেজিস্টার পর্যন্ত দেখতে দিলেন না। কী লুকোনোর চেষ্টা করেছেন?"

Advertisement

মামলাকারী অভিভাবকদের অভিযোগ, গত বছর মে মাসে স্কুলের বৈধতা বাতিল করে সিআইএসসিই বোর্ড। সেই তথ্য লুকিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ বছর দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিতে গিয়ে সঙ্কটে পড়েছে। প্রসঙ্গত, ওই স্কুলটি যে বাড়িতে অবস্থিত, সেটি পুরসভার খাতায় আইনি নয় বলে কোর্টের সওয়াল-জবাবে উঠে এসেছিল। এ দিন স্কুলের আইনজীবী জানান, সব নথি গুদামে আছে। গত বছর বৈধতা বাতিল হওয়ায় নতুন করে আবেদন জানানো হয়েছে। স্কুলের নতুন বাড়িটি বৈধ। এই মামলায় পুরসভার যোগ থাকায় তাদেরও মামলায় যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement