সুন্দরবনে বাঘের হানায় মৃত্যু হয়েছে অনেকের। বহু স্ত্রী তাঁর স্বামীকে হারিয়েছেন, শূন্য হয়েছে অনেক মায়ের কোল। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে হারিয়ে অকুল পাথারে সুন্দরবনের বহু পরিবার। কী ভাবে চলছে তাঁদের? সরকারের তরফ থেকে কি পরিবারগুলোর জন্য কিছু করা যায় না?
ফাইল ছবি।
বাঘের হানায় মৃতদের পরিবারগুলোর জন্য কী করেছে রাজ্য সরকার, জানতে চেয়ে হলফনামা তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। এ জন্য সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সুন্দরবনে বাঘের হানায় মৃত্যু হয়েছে অনেকের। বহু স্ত্রী তাঁর স্বামীকে হারিয়েছেন, শূন্য হয়েছে অনেক মায়ের কোল। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে হারিয়ে অকুল পাথারে সুন্দরবনের বহু পরিবার। কী ভাবে চলছে তাঁদের?
এ বার বাঘের হানায় মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী সমিতি। আদালতে তাদের আবেদন, সুন্দরবনে বাঘের হানায় যে মহিলারা স্বামীকে হারিয়েছেন, তাঁদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
সোমবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি মামলাকারীর আইনজীবী অভিষেক শিকদারকে প্রশ্ন করেন, শুধু স্বামীহারারাই কেন, সুন্দরবন এলাকায় বাঘের হানায় এমন অনেকের মৃত্যু হয়েছে, যাঁরা ছিলেন সংসারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি। বাঘের হানায় স্ত্রীর মৃত্যু হলেই বা সংসার চলবে কী করে? তাঁদের কি ক্ষতিপূরণের প্রয়োজন নেই? এই প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। বাঘের হানায় কত জনের মৃত্যু হয়েছে, এবং রাজ্য সরকার তাঁদের পরিবারের জন্য কী ব্যবস্থা করেছে, তা জানতে চেয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবারের শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, বাঘের হানায় যাঁদের মৃত্যু কিংবা অঙ্গহানি হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সরকার। তাঁর আরও সওয়াল, কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, সুন্দরবনের বাফার জোনের মধ্যে ঢুকে পড়েই বাঘের মুখে পড়েছেন অনেকে। তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, বাঘের হানায় হতাহতের সংখ্যা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সবিস্তার রিপোর্ট নিয়ে তা আদালতে পেশ করবেন। চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে এ বিষয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।