ফাইল ছবি।
এক কর্মীকে বরখাস্ত করার অভিযোগে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করল কলকাতা হাই কোর্ট। ২০২০ সালে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘অন্যায়’ ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শ্রাবন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলাতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করল আদালত। আবেদনকারীকে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বকেয়া বেতনও দিতে নির্দেশ।
২০১৩-য় বিশ্বভারতীর ভাষা ভবনের লাইব্রেরি ডকুমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজে যোগ দেন শ্রাবন্তী। ২০১৮-এর মার্চে বিশ্বভারতী তাঁকে জানায়, এই খাতে টাকা শেষ। তাই তাঁকে আর বেতন দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁকে কাজ বন্ধ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু দিন পর তাঁকে আবার কাজে পুনর্বহাল করেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এর পর ২০২০-তে ভাষা ভবনে কিছু আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শ্রাবন্তী তার জবাব না দেওয়ায় ফের তাঁকে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয় বলে অভিযোগ। এর পরই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শ্রাবন্তী। আবেদন করেন, তিনি যে পদে কাজ করতেন, সেখানে থেকে তাঁর পক্ষে কোনও আর্থিক নয়ছয় করা সম্ভব নয়। কারণ আর্থিক বিষয় তাঁর এক্তিয়ারের বাইরের বিষয়।
সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানান, শ্রাবন্তীকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। দিতে হবে বকেয়া বেতন। এর পাশাপাশি অন্যায় ভাবে শ্রাবন্তীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে আদালত।