গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শেষ মেট্রোর সময় বাড়ানো নিয়ে কলকাতা মেট্রো রেলকে বিবেচনা করতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, অন্য শহরে রাত ১১টা পর্যন্ত মেট্রো পাওয়া যায়। বিশাল সংখ্যক মানুষ কলকাতায় কাজ করেন। কিন্তু অনেকে এখানে থাকেন না। তাঁদের কথা ভেবে শেষ মেট্রোর সময় বাড়ানো যায় কি না, তা বিবেচনা করে দেখতে হবে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নিলেন, জনস্বার্থ মামলাকারীকে চার সপ্তাহের মধ্যে জানিয়ে দিতে হবে বলেও প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট এ সংক্রান্ত মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেয়। কর্মব্যস্ত শহরে রাত ক্রমশ ছোট হচ্ছে। কিন্তু মেট্রো কর্তৃপক্ষের তাতে হুঁশ নেই বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে শেষ মেট্রোর সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আকাশ শর্মা নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলার জেরেই এই নির্দেশ।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, ‘‘কলকাতা মেট্রোর ‘ব্লু লাইনে’ রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ শেষ মেট্রো ছাড়ে। এর ফলে অনেক অফিসযাত্রীর অসুবিধা হয়। হাই কোর্টের অনেক কর্মীও এই অসুবিধায় পড়েন।’’ প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এটি খুবই প্রয়োজনীয় আবেদন। যাত্রীদের কথা চিন্তা মেট্রোকে এ নিয়ে বিবেচনা করতে হবে।’’ মেট্রোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই কারণেই শেষ মেট্রোর সময় বাড়ানো হচ্ছে না। কিন্তু দেশের কোনও মেট্রো শহরেই তো এত তাড়াতাড়ি শেষ হয় না মেট্রোর পরিষেবা? সদুত্তর দেননি মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
তা ছাড়া, শুধু চটপট পরিষেবা বন্ধই নয়, দেরি করে মেট্রো চলাচল শুরুরও অভিযোগ রয়েছে কলকাতায়। শুধু দক্ষিণের চেন্নাই নয়, কলকাতার চেয়ে অনেক দেরিতে সূর্যোদয় দেখা দিল্লিতেও মেট্রো পরিষেবা শুরু হয় আগে। অথচ ভোর থেকেই শহরতলি থেকে বহু নিত্যযাত্রী কলকাতায় ঢোকেন। কিন্তু তাঁরা মেট্রোর পরিষেবা পান না। কারণ শহরে মেট্রোর ‘ঘুম ভাঙে’ সকাল ৬টা ৫০-এ!