আবারও বাসভাড়া বাড়ানোর দাবিতে সরব হল বাস মালিকদের সংগঠন। —নিজস্ব চিত্র।
আবারও বাসভাড়া বাড়ানোর দাবিতে সরব হল বাস মালিকদের সংগঠন। সেই দাবি তুলে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও সচিব সৌমিত্র মোহনকে চিঠি দিল বাস মালিকদের সংগঠন সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেস। ২০১৮ সালে শেষ বার এক টাকা বাসভাড়া বেড়েছিল। তার পর থেকে আর বেসরকারি বাসের ভাড়া বাড়েনি। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই বার বার পরিবহণ দফতরের কাছে বাসভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা।
এ ক্ষেত্রে তাঁদের যুক্তি, ২০২০ সালের কোভিড অতিমারির সময় যে লকডাউন হয়েছিল, তাতে বেসরকারি পরিবহণ পরিকাঠামো পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাস চালানোর খরচ। তাই আবারও পরিবহণ দফতরকে চিঠি দিয়ে ভাড়া বাড়ানোর দাবি করেছেন তাঁরা। চিঠিতে লেখা হয়েছে, গত কয়েক বছরে বেসরকারি বাস পরিবহণের খরচ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বাসের রক্ষণাবেক্ষণের খরচও লেগেই থাকে। এ ক্ষেত্রে বাসের 'বডি' সংক্রান্ত খরচ বার্ষিক ১৫-১৭ লক্ষও হতে পারে। গত কয়েক বছরে জ্বালানির দামও লিটার পিছু ৩০ টাকা করে বেড়ে গিয়েছে। পুলিশি জরিমানা ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, কোনও ক্ষেত্রে আবার ৮০০ টাকার জরিমানা ৫ হাজার টাকা হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়াও একটি বাসের দূষণ সংক্রান্ত ছাড়পত্র আনতে গেলে ব্যয় করতে হয় ২-১০ হাজার টাকা। এমতাবস্থায় ভাড়া বাড়ানোই একমাত্র পথ বলে চিঠিতে দাবি করেছে বাস মালিকদের সংগঠন।
কলকাতা ও শহরতলি মিলিয়ে ৪২০০ বেসরকারি বাস চলাচল করে। ২০০৯ সালে কলকাতা হাই কোর্টের এক নির্দেশের কারণে আগামী অগস্ট মাসের ১ তারিখ থেকে ১৫ বছর বয়সসীমার ঊর্ধ্বে থাকা বাসগুলি বাতিলের তালিকায় চলে যাবে। তাতে কলকাতা শহরে এক ঝটকায় অনেক বেসরকারি বাসই কমে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে যদি বাসভাড়া বাড়ানো নিয়ে পরিবহণ দফতর কোনও সিদ্ধান্ত না নেয়, তা হলে বেসরকারি পরিবহণ পরিষেবা ভেঙে পড়বে বলেই মত বাস মালিকদের।
তবে এ বার বাস ভাড়া বাড়ানো না হলে, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক টিটো সাহা। আপাতত, পরিবহণ দফতরের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে বেসরকারি বাস মালিকরা।