গঙ্গায় বর্জ্য ফেলা চলছেই

আশপাশের দোকানের আবর্জনাও নির্দ্বিধায় ফেলে যান ব্যবসায়ীরা। এই গঙ্গার ঘাটে যত্রতত্র পড়ে থাকে নোংরা। অভিযোগ, আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার করে না বজবজ পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৭ ০১:২৬
Share:

হতশ্রী: বজবজে গঙ্গার ধারে জমে রয়েছে আবর্জনা। ছবি: অরুণ লোধ

আবর্জনা, কাঠ, খড়, জীবজন্তুর দেহ এমনকী কল–কারখানার বিষাক্ত তেলও মিলবে বজবজের দিকের গঙ্গায়। আশপাশের দোকানের আবর্জনাও নির্দ্বিধায় ফেলে যান ব্যবসায়ীরা। এই গঙ্গার ঘাটে যত্রতত্র পড়ে থাকে নোংরা। অভিযোগ, আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার করে না বজবজ পুরসভা।

Advertisement

অথচ গঙ্গা দূষণ রোধে নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গঙ্গা তীরের সৌন্দর্যায়ন নিয়ে পিছিয়ে নেই রাজ্যও। তবে কেন পিছিয়ে বজবজ? যদিও বজবজ পুর কর্তৃপক্ষের সাফাই, পুরসভা পিছিয়ে নেই। দোকানের আবর্জনা ফেলার নির্দি‌ষ্ট জায়গা রাখা আছে। পুরসভার উদ্যোগে প্রতিদিন তা পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু স্থানীয়দের একাংশের উদাসীনতায় নোংরা নদীতেই ফেলা হয়। তাই বজবজ শ্মশানঘাট চত্বর থেকে পূজালি পর্যন্ত নদীর পাড়ে পড়ে থাকে আবর্জনা।

পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, এই প্রবণতা আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। কিন্তু পুরোপুরি এখনও বন্ধ করা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদারের কথায়, ‘‘গঙ্গায় ময়লা ফেললেও সেটা সামান্য পরিমাণের। তাতে দূষণ সম্ভব নয়।’’

Advertisement

বাসিন্দাদের মতে, শুধু বজবজ নয়, বিপরীতে হাওড়ার বাউড়িয়াও এ দিকের গঙ্গা দূষণের জন্য দায়ী। গঙ্গার পাড়ে মলত্যাগের প্রবণতা বজবজে থাকলেও, তা বাউড়িয়ায় অনেক বেশি। এর জেরে দূষিত হচ্ছে পুরো গঙ্গা। অথচ খোলা জায়গায় মলত্যাগ আটকাতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প স্বচ্ছ ভারত মিশনের পাশাপাশি রয়েছে রাজ্যের নির্মল বাংলা। অভিযোগ, কাজের থেকে হোর্ডিং-এ প্রকল্পের উপস্থিতি বেশি নজর টানে। মোটরচালিত নৌকাগুলিও গঙ্গায় দূষণ ছড়াচ্ছে। ওই নৌকাগুলি থেকে ডিজেল এসে পড়ছে গঙ্গার জলে এমনই
অভিযোগ স্থানীয়দের।

নদী বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্র বলেন, ‘‘গঙ্গা দূষণ হয় মূলত দু’ভাবে। একটি ক্ষেত্রে দূষণের উৎস চিহ্নিত করা যায়। অন্য ক্ষেত্রে সেটি করা যায় না। যে নালাগুলি গঙ্গায় মিশে দূষণ ছড়াচ্ছে সে ক্ষেত্রে সরকার বা প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ প্রয়োজন। পাশাপাশি গঙ্গার তীরে যত্রতত্র মলত্যাগ, নানা ধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে সরকারের দিক থেকে আরও অনেক বেশি জনসচেতনতা প্রসার প্রয়োজন।’’

বজবজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের গৌতম দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘খোলা জায়গায় মলত্যাগ রুখতে সকালে পুর কর্মীরা টহল দেন। এই প্রবণতা আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। দোকানদারদের গঙ্গায় বর্জ্য না ফেলতে আবেদন করা হয়। পুরসভার তরফে আবারও আবেদন করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement