Bridges

কোভিডের কারণে রাস্তা ও সেতু্ প্রকল্পে নিয়ম বদল

এত দিন প্রকল্পের বরাদ্দ ১০ কোটি টাকার বেশি হলেই তা ‘স্টেট প্রোজেক্ট স্ক্রিনিং কমিটি’-তে (এসপিএসসি) পাঠাতে হত।

Advertisement

দেবাশিস ঘড়াই

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২০ ০৫:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোভিড ১৯ সংক্রমণের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য রাস্তা ও সেতু সংক্রান্ত কাজের অনুমোদনে নিয়ম পরিবর্তন করল রাজ্য পূর্ত দফতর।

Advertisement

এত দিন প্রকল্পের বরাদ্দ ১০ কোটি টাকার বেশি হলেই তা ‘স্টেট প্রোজেক্ট স্ক্রিনিং কমিটি’-তে (এসপিএসসি) পাঠাতে হত। কমিটি সেটি অনুমোদন করলে তখন প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হত। কিন্তু কোভিড ১৯-এর কারণে এসপিএসসি-র বৈঠক হয়নি বহু দিন। কবে ফের হবে, তারও নিশ্চয়তা নেই। এ বার তাই সব জ়োনের চিফ ইঞ্জিনিয়ারেরাই ওই সংক্রান্ত বিষয়ে ‘টেকনিক্যাল’ সিদ্ধান্ত নেবেন। সে প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ যাই হোক না কেন। এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, “রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড-২৬ নম্বর ও সেন্ট্রাল রোড অব ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ডের যে সব প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ হওয়ার কথা, সেই সব ক্ষেত্রেই এই নীতি প্রযোজ্য।’’

প্রশাসন সূত্রের খবর, এমনি সময়ে এসপিএসসি বৈঠকেই প্রকল্প সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা ও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্তের উপরে ভিত্তি করেই দফতরের ‘কনস্ট্রাকশন’ বা নির্মাণ বিভাগ বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করে। যে রিপোর্ট ‘প্ল্যানিং’ বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে পাঠানো হয়। পরবর্তী ধাপে তা প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য রাজ্য পূর্ত দফতরের হেড কোয়ার্টারে পাঠানো হয়। বর্তমানে সংক্রমণের কারণে সেই পদ্ধতিতেই বদল এসেছে।

Advertisement

গত এপ্রিলেই প্রথম এ নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল বলে দফতর সূত্রের খবর। এসপিএসসি বৈঠক না হওয়ার জন্য তার অনুমোদন ছাড়াই প্রকল্পের প্রস্তাবিত অর্থ সংক্রান্ত রিপোর্ট দফতরের হেড কোয়ার্টারের চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘প্রকল্পের অর্থ পেতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই এপ্রিলেই প্রথম এ বিষয়ে পরিবর্তন আসে।’’

বদল আনার আরও একটি কারণ ব্যাখ্যা করে প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রকল্পের আর্থিক অনুমোদনের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তা ‘ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট’-এ (নাবার্ড) পাঠাতে হয়। ইতিমধ্যেই অনেকগুলি প্রকল্পের ক্ষেত্রে তা করা হয়েছে। আরও কতগুলি প্রকল্প পাঠানোর কথা চলছে। আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, যত দিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, তত দিন এই নিয়মই আপাতত বহাল থাকবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যাতে কোনও প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ করতে সময় নষ্ট না হয়, সেই কারণে নিয়মে বদল করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement