প্রতিবাদ: সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের মিছিল। রয়েছেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। নিজস্ব চিত্র
বছরের শেষ সোমবারের সকালে কলকাতার রাস্তায় ধ্বজা উড়িয়ে হাঁটলেন ওঁরা। দাবি তুললেন, রাজ্য থেকে দেশ— সর্বত্রই চাই শান্তি। ধর্মের নামে বিভাজন বন্ধ হোক। বজায় থাক সম্প্রীতি।
নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় এ দিন পথে নামলেন রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সদস্যেরা। তাঁদের কেউ পুরোহিত, কেউ সংস্কৃতের শিক্ষক, কেউ আবার অন্য কোনও পেশায় রয়েছেন। সংগঠনের কলকাতা ও আশপাশের জেলার সদস্যেরা এ দিন রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ থেকে মিছিল করলেন মেয়ো রোডের গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত। তাতে শামিল হয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘ভারতবাসী হিসেবে আমরা সবাই এক। সংবিধানেও তা-ই বলা আছে। সেই কারণে সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী সংখ্যাগুরুরাও আজ বিভেদের রাজনীতির প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। তাঁরাও চান, এ দেশে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাক।’’
সংগঠনের হলুদ ধ্বজা উড়িয়ে এ দিন রাজপথে হাঁটছিলেন সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের পুরুষ ও মহিলা সদস্যেরা। দেশ জুড়ে ধর্মের নামে বিভাজন ও মেরুকরণের প্রতিবাদে তাঁদের হাতে থাকা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘নিজের ধর্মকে বিশ্বাস করুন, মেনে চলুন। অপরের ধর্মকে সম্মান করুন।’ সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক শ্রীধর মিশ্র বলেন, ‘‘আমরা সকলেই শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ ও চৈতন্যদেবের আদর্শে বিশ্বাসী। তাঁরা তো কোনও দিন কোনও ধর্মকে আলাদা করেননি। তাই দেশের প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে শান্তিতে থাকেন, সেটাই চাইছি।’’ শীতের শহরে মিছিল তখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। ভিড় থেকে সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সদস্যেরা আওয়াজ তুললেন, ‘নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান...।’