পর পর বাড়িতে ফাটল। ছবি: নিজস্ব চিত্র।
বৌবাজারে এসে পৌঁছলেন শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং পুলিশ কমিশনার। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন তাঁরা।
দুর্গা পিতুরি লেনের ওই বাসিন্দাদের দাবি, মেট্রো রেলের কাজের জন্য যদি ফাটল ধরে থাকে, তবে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষেরই যোগাযোগ করার কথা ছিল ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির বাসিন্দাদের সঙ্গে। কিন্তু তার বদলে পুলিশ এসে তাদের বাড়ি খালি করতে বলেছে।
বৌবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে এলেন ঘটনাস্থলে। বাড়িতে ফাটল ধরা সত্ত্বেও এক বাসিন্দা বাড়ি ছাড়তে চাইছেন না তাঁকে রাজি করানোর চেষ্টা করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, দুর্গা পিতুরি লেন এলাকাটিকে পুলিশ ঘিরে রেখেছ। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। পাশে যেখানে মেট্রো রেলের কাজ চলছিল, সেটিও বন্ধ রাখা হয়েছে।
পুলিশি ঘেরাটোপ দুর্গা পিতুরি লেনে। নিজস্ব চিত্র।
মেট্রোর কাজের জন্যই ক্ষতি হওয়ায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানায় তারা এলাকাবাসীদের হোটেলে রাখার বন্দোবস্ত শুরু করেছে।
এ ভাবেই ফাটল ধরেছে একের পর বাড়িতে। নিজস্ব চিত্র।
মাঝ রাতে এলাকার বহু বাসিন্দাকেই দেখা যায় ব্যাগে দরকারি জিনিসপত্র নিয়ে পথে নামতে। অনেকেই হোটেলে আশ্রয় নেন।
বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল ধরার পড়ার পরেই মেট্রোর কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ বাহিনী ও কলকাতা পুরসভার কর্মীরা মাইকে প্রচার করে ফাটল ধরা বাড়িগুলির বাসিন্দাদের বাইরে বেরিয়ে আসতে অনুরোধ করেন। পরে এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
দুর্দশা। বাড়ির গায়ে ফাটলের ছবি বৌবাজারে। উল্টোদিকেই চলছে মেট্রো রেলের কাজ। নিজস্ব চিত্র।
মেট্রোর কাজ চলাকালীন বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বৌবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। আতঙ্কে ঘর ছাড়ে অনেক পরিবার। ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেট্রো আধিকারিকরা। স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে এবং চৌরঙ্গীর বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ও যান ঘটনাস্থলে।