শুক্রবার বইমেলায় ভাষণরত ইআইআইএলএম-কলকাতার চেয়ারম্যান তথা ডিরেক্টর এবং ‘বেদিক ইকোনমি’ বইয়ের লেখক রমাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
দারিদ্র, নিরক্ষরতা, কুস্বাস্থ্য বা অসাম্যের মতো দুষ্টের দমনে কার্যকর হতে পারে বৈদিক অর্থনীতি। সকলের সুস্থতার জন্য কোন অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি সহায়ক, সে পথও দেখিয়েছে ৪৬তম আন্তর্জাতিক বইমেলায় প্রকাশিত একটি বই। যার লেখক কলকাতার ইস্টার্ন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টিগ্রেটেড লার্নিং ইন ম্যানেজ়মেন্ট (ইআইআইএলএম)-এর চেয়ারম্যান তথা ডিরেক্টর অধ্যাপক (ডঃ) রমাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার ইআইআইএলএম-কর্তার ‘বেদিক ইকোনমি, বেসড অন কৌটিল্য’জ অর্থশাস্ত্র অ্যান্ড দ্য মহাভারত’ বইয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে বইমেলায় উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়, তাইল্যান্ডের পথুমথানি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিথিমা ইয়েনইয়ং, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তী। ছিলেন পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় এবং গিল্ড সভাপতি সুধাংশুশেখর দে।
শুক্রবার ‘বেদিক ইকোনমি’ বইয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে বইমেলায় লেখক-সহ অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়, তাইল্যান্ডের পথুমথানি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিথিমা ইয়েনইয়ং, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র।
ইআইআইএলএম-কর্তা রমাপ্রসাদের মতে, ‘‘ব্যক্তি এবং সমষ্টিগত অসাম্যকে কয়েকটি মূলগত নীতির মাধ্যমে ঠিক করতে পারে বৈদিক অর্থনীতি।’’ তিনি জানিয়েছেন, মহাভারত, বেদ এবং কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের উপর ভিত্তি করে এই অর্থনীতি গড়ে উঠেছে। তাতে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সমষ্টির উত্থানে সমন্বয় ও সমছন্দ তৈরি করা, চাহিদা ও ভোগের মধ্যে ভারসাম্য রাখা-সহ উন্নতির ছ’টি নীতিও বলা রয়েছে। বিশ্বের সর্বত্রই এই অর্থনীতির প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে বলে মনে করেন লেখক। সাম্য ও ঐক্যের চেতনা উদ্ঘাটন করাও এই অর্থনীতির কাজ।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের তালিম দেওয়ার কাজে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্ত রয়েছেন রমাপ্রসাদ। কলকাতা তথা রাজ্যের ম্যানেজমেন্ট শিক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তাঁর।