প্রতীকী ছবি।
দু’টি বস্তির সিপিএম ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে রবিবার উত্তাল হয়েছিল কসবার জগন্নাথ ঘোষ রোড। ওই ঝামেলার পরে দু’দিনও কাটেনি। এ বার স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলরের বাড়ি এবং ৯১ নম্বর ওয়ার্ড অফিসের সামনে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনায় পরে এলাকায় ফের উত্তেজনা ছড়ায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে মোটরবাইকে চেপে কয়েক জন এসে প্রথমে কসবার নবীনকৃষ্ণ ঘোষাল লেনে ওয়ার্ড অফিসের সামনে বোমা ছোড়ে। এর পরে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ৯১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর অন্নপূর্ণা দাসের বাড়ির সামনে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
কাউন্সিলর বলেন, ‘‘বোমার শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। রাতেই পুলিশে সব জানাই। কিন্তু এই ঘটনার পরেও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’’ অন্নপূর্ণাদেবীর আরও অভিযোগ, ‘‘যে কোনও উপায়ে ৯১ নম্বর ওয়ার্ড নিজেদের হাতে রাখতে দুষ্কৃতীদের দিয়ে সিপিএম কর্মী-সমর্থক এবং আমার বাড়ির উপরে আক্রমণ করছে তৃণমূল।’’ যদিও বরো চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় সিপিএম কাউন্সিলরের বাড়িতে বোমা ছোড়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। সিপিএমের পা থেকে জমি সরে গিয়েছে আগেই। এখন ভুলভাল অভিযোগ করছে। বোমা ছোড়ার ঘটনায় আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়।’’ ডিসি (এসএসডি) ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর বলেন, ‘‘কাউন্সিলর থানায় বোমাবাজির অভিযোগ করেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
রবিবার সন্ধ্যায় কসবার কুমোরপাড়ার বৈকুণ্ঠ ঘোষ রোডে কীর্তনের আসর বসেছিল। অভিযোগ, পাশের জগন্নাথ ঘোষ রোডের বস্তির কয়েক জন সিপিএম সমর্থক মত্ত অবস্থায় সেখানে ঢুকে তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে বচসায় জড়ায়। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে।
এর পরেই জগন্নাথ ঘোষ রোড থেকে সিপিএম সমর্থকেরা দলবল মিলে হাজির হয়ে তৃণমূল সমর্থকদের লক্ষ্য করে মদের বোতল ও ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। গোলমাল থামাতে গিয়ে জখম হন পাঁচ পুলিশকর্মীও।
রবিবারের ওই গোলমালের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম কানু, তারক ও তাপস। এই নিয়ে ওই ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩। দু’দিনের মধ্যে কসবায় দু’বার গোলমাল হওয়ায় বুধবার ওই সমস্ত এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।