Dumdum Central Jail

জেলে এখনও শনাক্তই হয়নি জোড়া দেহ

কারা সূত্রের খবর, সে-দিনের বন্দি-পুলিশ সংঘর্ষে ২৯ জন আহতকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০ ০৭:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

দমদম সেন্ট্রাল জেলে শনিবারের হাঙ্গামায় বুধবার পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চার জনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে কারা সূত্রের খবর। কিন্তু এই বিষয়ে কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি। সব মৃতদেহের শনাক্তকরণ সম্পূর্ণ হয়নি গোলমালের প্রায় ১০০ ঘণ্টা পরেও। ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে জেল। তবে বন্দিদের খাওয়াদাওয়া এখনও স্বাভাবিক হয়নি।

Advertisement

কারা সূত্রের খবর, সে-দিনের বন্দি-পুলিশ সংঘর্ষে ২৯ জন আহতকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের প্রায় সকলের দেহে গুলির চিহ্ন আছে। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। তিন জনের দেহ শনাক্ত করে পরিজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি দু’টি মৃতদেহ শনাক্তকরণের জন্য আঙুলের ছাপ মিলিয়ে দেখার কাজ চলছে। আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ১০ জন চিকিৎসাধীন। রবিবারেও অশান্তি হয় দমদম জেলে। কয়েক জন মহিলা বন্দি আহত হন।

তাণ্ডবে যে-ভাঙচুর হয়েছিল, তা দ্রুত মেরামত করা সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন কারাকর্তারা। কড়ি-বরগার তৈরি একটি ওয়ার্ডের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, তার একটি বড় অংশ ভেঙে ফেলতে হতে পারে। বন্দিদের স্বজনদের অভিযোগ, বুধবারেও দুপুরে জেলে শুধু ভাত-ডাল দেওয়া হয়েছে। সোম-মঙ্গলবারেও ভাত-ডাল এবং খিচুড়ি দেওয়া হয়েছিল। একবেলা খেতে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। যদিও কারা দফতরের দাবি, দু’বেলা খাবার, সকালে চিঁড়ে-চিনি দেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন আনাজ দিয়ে রান্না করা ডাল।

Advertisement

কারাকর্তারা জানান, খাদ্যসমস্যার জন্য বন্দিদের তাণ্ডবই দায়ী। প্রায় ১৫ দিনের বাজার করা ছিল। হাঙ্গামায় সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি সুরাহা হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। পুলিশি সূত্রের খবর, তল্লাশি পর্ব প্রায় শেষ। বিচারাধীন বন্দিদের বুধবারেও দিনভর লক-আপকরে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁদের আত্মীয়েরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement