—প্রতীকী ছবি
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পরে খালের জলে ভেসে উঠল এক যুবকের দেহ। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বেলেঘাটার চাউলপট্টি এলাকায়। মৃতের নাম নাড়ু দেবনাথ (৩৭)। কী ভাবে তাঁর দেহ ওই খালে ভেসে উঠল, তা রাত পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। মৃতদেহটি ময়না-তদন্তের জন্য এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, নাড়ুর বাড়ি বেলেঘাটা মেন রোডে। তাঁর বাবা বিশ্বজিৎ দেবনাথ মারা গিয়েছেন বছর দুয়েক আগে। মা দুর্গা দেবনাথসম্প্রতি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ায় গত শুক্রবার তাঁকে বেলেঘাটার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দস্তানা তৈরির একটি কারখানায় কাজ করতেন নাড়ু। তাঁর আয়েই চলত সংসার। নাড়ুদের বাড়িতেই স্বামী এবং সন্তানকে নিয়ে থাকেন তাঁর বোন রিনা শীল। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘শুক্রবার মাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে আমাদের সঙ্গেই গিয়েছিল দাদা। শনিবার সকালে খাবার নিয়ে কারখানায় কাজে চলে যায়। রাতে আর ফেরেনি।
আমরা ভেবেছিলাম, কারখানাতেই হয়তো থেকে গিয়েছে। কিন্তু রবিবারও দাদার খোঁজ না পেয়ে আমরা পুলিশকে সব জানাই।’’ একই সঙ্গে রিনার দাবি, নাড়ু মাঝেমধ্যে মদ্যপান করতেন। কিন্তু তার সঙ্গে এই মৃত্যুর যোগ পাচ্ছেন না তাঁরা।
পুলিশের দাবি, সোমবার দিনভর নাড়ুর খোঁজ চালানো হয়। তিনি যেখানে কাজ করতেন, সেই কারখানাতেও যায় পুলিশের একটি দল। কিন্তু কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোনও সূত্র মেলেনি। এর পরে চাউলপট্টি এলাকার কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পায় পুলিশ। তাতে নাড়ুকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা গেলেও একটি জায়গার পরে আর কোনও সূত্র মেলেনি। মঙ্গলবারও দফায় দফায় কারখানার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে নাড়ুর বাড়ির লোককে কথা বলার জন্য আসতে বলেছিলেন তদন্তকারীরা। তার আগেই খাল থেকে উদ্ধার হয় ওই যুবকের দেহ। এক তদন্তকারীর কথায়, ‘‘মত্ত অবস্থায় খালে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ময়না-তদন্তের রিপোর্টের পরেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’’