প্রতীকী ছবি।
কলকাতা এবং হাওড়ার বেশ কিছু সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের নীল-সাদা পোশাক দেওয়া শুরু হল। কলকাতায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে ১১৭টি স্কুলে এই পোশাকের একটি করে সেট দেওয়া হয়েছে বলে কলকাতা জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। বুধবার হাওড়ার কিছু স্কুলের পড়ুয়াদেরও নীল-সাদা পোশাক দেওয়া হয়।
কয়েক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সরকারি, সরকার-পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পোশাকের রং হবে নীল-সাদা। পোশাকে থাকবে বিশ্ব বাংলার লোগো। হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, ওই এলাকায় ৩৯৪টি সরকার-পোষিত স্কুল আছে। যার মধ্যে ২১১টি স্কুলের পড়ুয়াদের এক সেট করে পোশাক তৈরি হয়ে গিয়েছে। ওই জেলায় সরকারি ও সরকার-পোষিত মিলিয়ে ৬৫ হাজারেরও বেশি পড়ুয়া পাবে নীল-সাদা পোশাক। এ দিন মধ্য হাওড়ার পাঁচটি স্কুলে পড়ুয়াদের ওই পোশাক দেন হাওড়ার পুর প্রশাসক ও প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যেরা।
অন্য দিকে, কলকাতায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে ১১৭টি স্কুলে নীল-সাদা পোশাক পৌঁছে গিয়েছে বলে জেলা শিক্ষা দফতর জানালেও অনেক স্কুল এখনও পোশাক পায়নি। কিছু স্কুল আবার জানিয়েছে, তাদের থেকে এখনও পর্যন্ত শুধু ওয়ার্ক অর্ডার নেওয়া হয়েছে। উত্তর কলকাতার বেশির ভাগ স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, বছরের সাত মাস কেটে গেলেও নতুন পোশাক না আসায় অভিভাবকেরা চিন্তিত।
হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, জেলা শিক্ষা দফতর ও জেলা প্রশাসনের অনুরোধে নীল-সাদা পোশাক তৈরির দায়িত্ব নেয় পুরসভা। হাওড়ার পুর প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, “৩০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় সাধন করছে পুরসভারই ন্যাশনাল আর্বান লাইভলিহুড মিশন (এনইউএলএম) দফতর। তারাই ওই ৩০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে স্কুলের নীল-সাদা পোশাক তৈরির বরাত দিয়েছে।’’
তবে রাজ্যের সব স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পোশাক নীল-সাদা হয়ে গেলে স্কুলগুলি তাদের নিজস্ব রঙের পোশাকের বৈশিষ্ট্য হারাবে বলে আগেই সরব হয়েছিলেন অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। মধ্য কলকাতার একটি স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নীল-সাদা পোশাক হলেও আমাদের স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়াদের পোশাকের রং আগে যা ছিল, সেটাই থাকছে।’’