Murder

বিছানায় পড়ে রক্তাক্ত দেহ, সন্দেহ খুন

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ননীগোপাল মুখার্জি রোডে কুস্টিয়া সরকারি আবাসনের সংস্কারের কাজ করতে এ দিন সকালে মিস্ত্রিরা এসেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৪১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

আবাসনের সংস্কারের কাজ করতে সকালে এসেছিলেন মিস্ত্রিরা। সে সময়ে তিনতলার একটি ফ্ল্যাটের দরজা ধাক্কা দিতেই খুলে যায় সেটি। আর তখন ভিতরে ঢুকে মিস্ত্রিরা দেখেন, ঘরের মধ্যে খাটে উপুড় হয়ে পড়ে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ। গলায় গভীর ক্ষত, বিছানা রক্তে ভিজে গিয়েছে। সেই রক্ত চুঁইয়ে পড়েছে মাটিতেও। খাট লাগোয়া দেওয়ালে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। বৃহস্পতিবার সকালে, তিলজলা থানা এলাকার ননীগোপাল মুখার্জি রোডের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় (৪৫)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দিন দুয়েক আগে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এই খুন করেছে, সে বিষয়ে এ দিন রাত পর্যন্ত কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ননীগোপাল মুখার্জি রোডে কুস্টিয়া সরকারি আবাসনের সংস্কারের কাজ করতে এ দিন সকালে মিস্ত্রিরা এসেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, তখন ওই ফ্ল্যাটের দরজা ধাক্কা দিতেই খুলে যায় সেটি। সেখানে দুর্গন্ধ পেয়ে ভিতরে ঢুকে মিস্ত্রিরা দেখেন, বিছানায় পড়ে মৃতদেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছোয় পুলিশ কুকুর এবং লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা।

লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’’

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই আবাসনের ফ্ল্যাটে একা থাকতেন জয়ন্তবাবু। তাঁর বাবা গত হয়েছেন কয়েক বছর আগে। বছর দেড়েক আগে মা মারা যাওয়ার পর থেকে একাই থাকতেন তিনি। কুস্টিয়ার ওই সরকারি আবাসনের সম্পাদক টিটু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জয়ন্ত আবাসনের কারও সঙ্গে তেমন মিশতেন না। খুবই সাদাসিধে ছিলেন। দিন তিনেক আগে রাত ৮টা নাগাদ এক ভাগ্নে আসবে বলে ফ্ল্যাটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন জয়ন্তবাবু। পরে এক যুবককে নিয়ে তাঁকে ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল।’’

এ দিন ঘটনাস্থলে আসা পুলিশ কুকুরকে বেশ কিছুটা পথ ছুটতে দেখা যায়। পুলিশ কুকুরটি যে যে রাস্তা দিয়ে ছুটেছিল, সেই রাস্তায় লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে তিলজলা থানার পুলিশ। এ ছাড়া ওই আবাসনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্র্রে খবর, জয়ন্তবাবুর মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। তাঁর নম্বরে ফোন করলেও মোবাইলটি বন্ধ ছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement