প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত
ভিডিয়ো কল করে অশ্লীল ছবি দেখিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ ফের দায়ের হল পুলিশে। দিন দুয়েক আগে ফুলবাগান থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন
এক ব্যক্তি।
লিখিত অভিযোগে ওই ব্যক্তির দাবি, সম্প্রতি রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ অচেনা দু’টি নম্বর থেকে তাঁকে ভিডিয়ো কল করা হয়। প্রথমে তিনি অচেনা নম্বর দেখে ফোন ধরেননি। বার চারেক পরে ফোন ধরেন। তখনই অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি অশ্লীল ছবি দেখাতে শুরু করেন। ২০-২৫ সেকেন্ড পরেই অভিযোগকারী ফোনটি কেটে দেন। এর কিছু পরে আর একটি নম্বর থেকে সেই ভিডিয়ো কলের ‘স্ক্রিনশট’-এ ফোটোশপ করে ওই অশ্লীল ছবি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ফোনে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। সঙ্গে দাবি করা হয় মোটা টাকা। টাকা না দিলে সামাজিক মাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় অভিযুক্তেরা। সম্মানহানির ভয়ে কয়েক হাজার টাকা দিয়েও দেন অভিযোগকারী। ফের তাঁকে ভয় দেখিয়ে আরও টাকা দাবি করা হয় তাঁর অভিযোগ। এর পরেই তিনি ফুলবাগান থানার
দ্বারস্থ হন।
এই ধরনের ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। মাস তিনেক আগে নারকেলডাঙা থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে এমনই ঘটনা সামনে এসেছিল। আত্মঘাতী এক যুবকের বোন থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছিলেন, তাঁর দাদা ঘটনার দিন কয়েক আগে একটি ভিডিয়ো কল পেয়েছিলেন। সেই কলে এক তরুণী অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। সঙ্গে সঙ্গে তরুণীর দাদা ফোন কেটে দিলেও একই কায়দায় বার বার টাকা চাওয়া হয়। ফাঁসানোর হুমকিও দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে মার্চেই রাজস্থানের ভরতপুর থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
একই চক্র এই কাজ করছে কি না, তা দেখছে পুলিশ। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘শহরে এমন চক্র সক্রিয় হয়েছে। সম্মানহানির ভয়ে অনেকেই অভিযোগ জানাচ্ছেন না। তবে ফাঁদ এড়াতে অচেনা নম্বর থেকে ভিডিয়ো কল না ধরা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে নাগরিকদের।’’