তৃমমূল সাংসদের গ্রেফতারির দাবিতে পথে বিজেপি মহিলা মোর্চা। নিজস্ব চিত্র।
কালী-বিতর্কে এবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নামল বিজেপি। বুধবার দুপুরে মিছিল করে বউবাজার থানায় যান বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যরা। সেখানে মোট ৫৬টি অভিযোগপত্র দিয়েছেন তাঁরা। দাবি, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশকে।
বুধবার মিছিল করে বউবাজার থানায় যান বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যরা। মিছিল থেকে শোনা যায় ‘জয় মা কালী’, ‘জয় শিব শম্ভু’ ধ্বনি। সেখানে বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাপতি তনুজা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুলিশ বিকেলে ‘কমপ্লেন নম্বর’ দেবে বলেছে। আমরা তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছি। আশা করি, পুলিশ কাজ করবে। নইলে আন্দোলন করতে হবে আমাদের।’’
অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে কিছু না জেনে, তাদের বিশ্বাস না বুঝে একটি অনুষ্ঠানে ‘মা কালী’ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এবং সেটা তিনি করেছেন ইচ্ছাকৃত ভাবেই। কিন্তু তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্যে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। ওই অভিযোগপত্রে এও লেখা হয়েছে, বাংলা জুড়ে ধর্মীয় হিংসার ঘটনা ঘটছে। জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি। আর এই পরিস্থিতিতে মহুয়ার মন্তব্য ঘৃতাহুতি করেছে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে।
বিতর্কের শুরু ভারতীয় পরিচালক লীনা মানিমেকালাইয়ের একটি তথ্যচিত্রের পোস্টার নিয়ে। সেখানে মা কালী রূপে এক মহিলাকে ধূমপান করতে দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সোমবার কলকাতার এক অনুষ্ঠানে এই প্রসঙ্গে মহুয়াকে একটি প্রশ্ন করেন সঞ্চালক। যাঁর উত্তরে একটি মন্তব্য করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। তার পরেই শুরু হয় রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়। সাংসদের মন্তব্য থেকে তাঁর দল দূরত্ব রচনা করেছে। তার পর মহুয়াও তৃণমূলের টুইটার পেজ আনফলো করেন।