ফাইল চিত্র।
ফের চিনা মাঞ্জার সুতোয় আহত হলেন মোটরবাইক চালক এক যুবক। আহতের নাম সঞ্জয় হাওলাদার। তাঁর নাক ও চোখের উপরের অংশ ক্ষত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। রবিবার দুপুরের এই ঘটনা আরও এক বার দেখিয়ে দিল কোনও ভাবেই কমানো যাচ্ছে না এই মাঞ্জা সুতোর ধার। এ দিনের ঘটনাস্থলও ছিল সেই ‘মা’ উড়ালপুল। দিন তিনেক আগের ঘটনা। এই উড়ালপুলেই চিনা মাঞ্জা
সুতোয় গুরুতর আহত হয়েছিলেন এক মহিলা পুলিশকর্মী। অর্থাৎ, বার বদলে যায়, বদলায় না ঘটনাস্থল। অথচ চিনা মাঞ্জা সুতোর ফাঁদ আটকাতে ওই উড়ালপুল ঘিরে দেওয়ার (ফেন্সিং) বেশির ভাগ কাজ শেষ। তবুও ঘটে চলেছে পর পর দুর্ঘটনা। যা চিন্তা বাড়িয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তাদের।
পুলিশ সূত্রের খবর, নিউ টাউনের বাসিন্দা ওই যুবক নিজেই মোটরবাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ছিলেন আরও এক জন আরোহী। পার্ক সার্কাসের দিক থেকে সায়েন্স সিটির দিকে যাওয়ার সময়ে চার নম্বর ব্রিজের কাছে ঘটে দুর্ঘটনা। কড়েয়া থানার অন্তর্গত ওই এলাকা। ব্রিজের কাছে সুতো বাইক চালকের শরীরে জড়িয়ে যায়। তাঁর নাক ও চোখে আঘাত লাগে। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। তবে তাঁর আঘাত গুরুতর নয় বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘চিনা মাঞ্জার জেরে দুর্ঘটনা কমাতে ইতিমধ্যেই উড়ালপুল ঘিরে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজ অনোকটাই হয়ে গিয়েছে। এমনকি দুর্ঘটনা এড়াতে আশপাশের এলাকায় নজরদারিও চালানো হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের। দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত পদক্ষেপ করতে উড়ালপুলের উপরে পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকছে। কিন্তু মানুষের সচেতনতা না বাড়লে চিনা মাঞ্জা সুতোর জেরে দুর্ঘটনা ঠেকানো মুশকিল।’’