প্রতীকী ছবি।
প্রচার সত্ত্বেও দৈনন্দিন আবর্জনার সঙ্গেই মাস্ক, গ্লাভস, টুপি ফেলছেন বাসিন্দাদের অনেকেই। ফলে বাড়ছে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা। এমন অভিযোগ উঠছিল কিছু দিন ধরেই। এ বার তাই সচেতনতা বাড়াতে প্রচারে জোর দিচ্ছে বিধাননগর পুরসভা।
করোনা মোকাবিলায় ব্যবহৃত সুরক্ষা বর্জ্য যাতে বাসিন্দারা আলাদা প্যাকেটে করে পুরকর্মীদের হাতে দেন, তারই প্রচার শুরু হয়েছে ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। পুরসভা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ১০টি ওয়ার্ডে পুজোর ফুল ও মেডিক্যাল বর্জ্য আলাদা নেওয়ার ব্যবস্থা আছে। করোনা আক্রান্তদের বাড়ি থেকে আবর্জনা নেওয়ার পৃথক ব্যবস্থাও হয়েছে। তবু বাসিন্দাদের একাংশের অসচেতনতা রয়েছে ওই দশটি ওয়ার্ডেও। এমনই দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ, করোনা মোকাবিলায় ব্যবহৃত গ্লাভস, মাস্ক, টুপি-সহ সুরক্ষার সামগ্রী রাস্তা অথবা ভ্যাটে অন্য আবর্জনার সঙ্গেই ফেলছেন অনেকে। সে কথা স্বীকারও করেছেন পুরকর্তারা। বাসিন্দাদের পাল্টা অভিযোগ, গ্লাভস, টুপি, মাস্কের ফেলা নিয়ে বাসিন্দাদের আলাদা নির্দেশ দেয়নি পুরসভা।
১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ প্রণয় রায় জানাচ্ছেন, গ্লাভস-মাস্ক নিয়ে পুরসভার তরফে সচেতনতার প্রচার সে ভাবে সত্যিই হয়নি। এ বার সংক্রমণ আটকাতে এই বর্জ্যকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ওই বর্জ্য আলাদা করে সংগ্রহ করে সতর্কতার সঙ্গে তা নষ্ট করে দেওয়া হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই প্রচার চলবে।