বিধানগর পুরসভার অধীনে সল্টলেকের সরকারি-বেসরকারি অফিসও নার্সিংহোম, হোটেল, রেস্তরাঁ-সহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে জলের মিটার বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কে কত জল খরচ করছে, মিটার বসানো হলে তা জানা যাবে। এর খরচ নেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকেই। তবে বসতবাড়িতে এখনই জলের মিটার বসানোর পরিকল্পনা নেই পুর প্রশাসনের।
পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি মেয়র পরিষদের বৈঠকে জলের মিটার বসানো নিয়ে এক প্রস্ত আলোচনা হয়েছে। মেয়র পারিষদেরা মিটার বসানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। এপ্রিল মাসে পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পুরসভার এক কর্তা জানান, রাজারহাটেও বহু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে অবশ্য এই মুহূর্তে মিটার বসানোর পরিকল্পনা নেই। কারণ, পরিস্রুত পানীয় জল রাজারহাটে পৌঁছতে ঢের দেরি। তবে জল দেওয়া শুরু হলে সেখানেও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে মিটার বসানো হবে।
বিধাননগর পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, গঙ্গার জল নিউ টাউনে পরিশোধন করে এপ্রিল থেকে সল্টলেকের প্রতিটি ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। তার পরেই অফিস-হোটেল-নার্সিংহোমে ধীরে ধীরে মিটার বসাতে চায় পুর প্রশাসন। এক মেয়র পারিষদের কথায়, ‘‘টালা-পলতা থেকে বিধাননগরে কত জল পাওয়া যাচ্ছে, তা পরিমাপের জন্য ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল পার্কের জলাধারে মিটার বসানো হয়েছে। এ বার নিউ টাউন জলাধার থেকে সল্টলেকের ১৬টি জলাধারে কত জল আসছে, তা দেখতে ১৬টি মিটার বসানো হবে।’’
পুরসভার এক কর্তা জানান, সল্টলেকে ১০০টির মতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সব মিলিয়ে সেখানে দিনে ৪০ হাজার লিটার জল খরচ হয়। হিসেব বলছে, একটি অফিসে দিনে ১৩৫ লিটারের মতো জল প্রয়োজন। ওই হিসেব ধরেই জলাধার তৈরি করা হয়। সেই মতো জলের অপচয় হচ্ছে কি না, মিটার বসানো হলেই তা সামনে আসবে।