Bidhannagar Municipal Corporation

বকেয়া কর আদায়ে শিবির করবে বিধাননগর

পুরসভা সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতিতে পুরসভা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:২৩
Share:

ফাইল চিত্র।

বহু রাস্তার স্থায়ী মেরামতি প্রয়োজন। আলো নেই অনেক এলাকায়। বেশ কিছু সংস্কার প্রকল্প এখনও শুরু করা যায়নি। বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, এর বড় কারণ অর্থের অভাব। সম্পত্তিকর-সহ বিভিন্ন খাতে পুরসভার পাওনা রয়েছে কয়েকশো কোটি টাকা। এ বার তাই কর আদায়ে জোর দিতে এলাকায় ক্যাম্প করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিধাননগর পুরসভা।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতিতে পুরসভা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়েছে। শুধু সম্পত্তিকর বাবদই প্রায় ৫০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। দৈনন্দিন বিভিন্ন পরিষেবার কাজ বজায় রাখতে গিয়ে হাত দেওয়া যাচ্ছে না সংস্কারমূলক বেশ কিছু কাজে।

প্রশ্ন উঠেছে, কেন এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিকর আদায় করা হয়নি? পুরসভা সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতির জেরে পুরসভার স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়েছিল। পরে ওয়ার্ডভিত্তিক কত কর বাকি রয়েছে, তার হিসেব করা হয়। তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরদের। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের কাছে বকেয়া কর জমা দেওয়ার আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু তাতে বিশেষ সাড়া মেলেনি। পুরকর্তাদের একাংশের কথায়, করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আয়ত্তের মধ্যে আসছে। তাই কর আদায়ের ক্ষেত্রে এ বার জোর দেওয়া হবে।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁর ওয়ার্ডে ক্যাম্প করে বাজারগুলি থেকে ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ টাকা কর আদায় করা হয়েছে। এ ভাবে ওয়ার্ডভিত্তিক শিবির করে কাজ করলে বেশি কর আদায় হবে বলে মনে করছেন তিনি।

সল্টলেকের বাসিন্দাদের একাংশ দাবি তুলেছেন, সম্পত্তিকর আদায়ের ক্ষেত্রে মাসিক কিস্তির কথা বিবেচনা করুন পুর কর্তৃপক্ষ। কারণ, করোনা পরিস্থিতিতে বহু মানুষ কর্মহীন হয়েছেন, আয় কমে গিয়েছে অনেকেরই। পুর প্রশাসনের একাংশের কথায়, কর জমা দেওয়ার আবেদন করলেও বাসিন্দাদের একাংশের থেকে পর্যাপ্ত সাড়া মেলেনি। বকেয়া টাকা পুরসভার হাতে এলে উন্নয়নমূলক কাজে গতি আসবে।

বিধাননগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিপুল পরিমাণ কর বকেয়া রয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার জন্য পরিষেবা বন্ধ হয়নি। কিছু কর সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে এখনও অনেক বাকি। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি বিল পাঠানো, করের টাকা দেওয়ার আবেদন আগেই করেছেন ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরেরা। কিন্তু নানা কারণে পর্যাপ্ত সাড়া মেলেনি। ইতিমধ্যেই কিছু জায়গায় শিবির করে করের টাকা নেওয়া হয়েছে। ফের সে ভাবেই টাকা সংগ্রহে জোর দেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement