প্রতীকী ছবি।
ভুয়ো সমন দাখিলের ঘটনায় প্রতারণার মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পুলিশ মামলা দায়েরও করে। এ বার সেই মামলার এফআইআর থেকে এক মহিলা আইনজীবীর নাম প্রত্যাহারের দাবিতে ব্যাঙ্কশাল আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারক এবং তৃতীয় মেট্রোপলিটন বিচারকের এজলাস বয়কটের ডাক দেওয়া হল।
সূত্রের খবর, ব্যাঙ্কশাল আদালতের পাঁচটি বার সোমবার থেকে ওই বয়কটের ডাক দিয়েছে। বার অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী সম্পাদক শ্যামল মণ্ডল জানান, তাঁরা এ দিন মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের সঙ্গে দেখা করে ওই আইনজীবীর নাম বাদ দিতে ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। ওই তিন দিন দুই এজলাসের শুনানিতে কোনও আইনজীবী যোগ দেবেন না বলে তিনি জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার জলপাইগুড়ির বাসিন্দা সঞ্জয় কুমার নামে এক ব্যক্তি তৃতীয় মেট্রোপলিটন বিচারকের একটি হাজিরার ‘সমন’ নিয়ে ওই আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের দাবি, যে মামলার সমন পাঠানো হয়েছিল তা কিছু দিন আগেই খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে সেই মামলায় ফের মক্কেলের নামে সমন জারি হওয়ায় ওই আইনজীবী বিচারকের মুহুরির কাছে সমনটি জমা দেন।
পুলিশের দাবি, সমনটি ছিল ভুয়ো। বিচারকের সইও তাতে জাল করা হয়েছিল। এর পরেই ওই দিন আদালত হেয়ার স্ট্রিট থানায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করে।
এফআইআর দায়ের করে পুলিশও তদন্ত শুরু করে। বিচারকের সই কে জাল করল এবং কী উদ্দেশ্য নিয়ে ওই খারিজ হওয়া মামলার সমন পাঠানো হল তা খুঁজে দেখতে বলা হয়েছে পুলিশকে।
আইনজীবীদের অভিযোগ, মক্কেলের আনা সমন নিয়ে ওই আইনজীবী শুধু আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি সমনের বিষয়ে কিছুই জানেন না। অথচ তাঁর বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে। ব্যাঙ্কশাল আদালতের আইনজীবী তরুণ চট্টোপাধ্যায় জানান, ওই আইনজীবীর কোনও ভূমিকা ছিল না সমন জমা দেওয়া ছাড়া। পুলিশের দাবি, ওই মহিলার নামে এফআইআর হয়নি। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত চলছে।