প্রতীকী ছবি।
অভিযোগ এসেছিল ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণা করার। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে এক সফটওয়্যার ডেভেলপার। বৃহস্পতিবার রাতে ঠাকুরপুকুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ। ধৃতের নাম চন্দ্রশেখর সিংহ আজাদ (৩২)।
একটি বেসরকারি সংস্থার এক প্রতিনিধি সম্প্রতি বিধাননগর সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানান, এক ব্যক্তি ওই সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ঋণের জন্য আবেদন করেছিলেন। এর পরে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। সেই ফোনে এক জন তাঁকে জানায়, ঋণ পেতে হলে কয়েক হাজার টাকা ‘প্রসেসিং ফি’ বাবদ দিতে হবে। সেই ফি দেওয়ার পরে ওই আবেদনকারীর মোবাইলে একটি লিঙ্ক পাঠানো হয়, যেখানে তাঁর মোবাইল নম্বর দিতে বলা হয়। ওই নম্বর দিতেই তাঁকে ঋণের অনুমোদনের চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু ঋণের টাকা না পেয়ে ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন সেই আবেদনকারী।
সংস্থার তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে জানা যায়, ওয়েবসাইটটি ভুয়ো। তা ছাড়া, ওই পদ্ধতিতে সংস্থাটি কাউকে ঋণ দেয় না। এর পরে ওই সংস্থার কর্তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, আরও কয়েক জনের সঙ্গে একই কৌশলে প্রতারণা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত চন্দ্রশেখরের সন্ধান পায়। সে কম্পিউটার সায়েন্সে বি-টেক পাশ। চন্দ্রশেখরই ওই সংস্থার ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণার কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। জোকায় ধৃতের অস্থায়ী ঠিকানা থেকে বেশ কিছু সামগ্রী ও নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, শুধু ওই সংস্থার নয়, একাধিক সংস্থার প্রায় ২৫টি ওয়েবসাইট তৈরি করেছিল ওই যুবক। ধৃতের বাড়ি বিহারের বক্সার জেলায়। আরও কেউ এই ঘটনায় জড়িত কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।