Auto

বেপরোয়া অটোর বলি চালকেরই বাবা

দুর্ঘটনায় ওই অটোর আরও দুই যাত্রী জখম হন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি

বেপরোয়া ভাবে অটো চালানোর অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে ওঠে চালকদের বিরুদ্ধে। তার জেরে অনেক ক্ষেত্রেই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। আবারও সেই অভিযোগ উঠেছে এক অটোচালকের বিরুদ্ধে। তার জেরে দুর্ঘটনায় মারা গেলেন সেই চালকের বাবা। তিনি অটোচালক ছেলের পাশে বসেই অটোয় চেপে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, অটোটি বেপরোয়া ভাবে চলতে গিয়ে একটি গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় ওই অটোর আরও দুই যাত্রী জখম হন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নিত্য মজুমদার (৫০)। ঘটনার পরে অটো ছেড়ে চালক চন্দন মজুমদার পালিয়ে যান বলেই দাবি পুলিশের। আহত বাবাকে এ ভাবে ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় তাঁর মানবিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অটোটি পুলিশ আটক করেছে। যদিও ফোনে চন্দনের দাবি, তিনি সাবধানেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ছেলের অটোয় চেপে অফিসে যাচ্ছিলেন নিত্যবাবু। ঠাকুরপুকুর থানার পোড়াঅশ্বত্থতলার কাছে ডায়মন্ড হারবার রোডে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। অটোটি ঠাকুরপুকুর-তারাতলা রুটের। ঠাকুরপুকুরের ৩এ বাসস্ট্যান্ড থেকে নিত্যবাবু অটোয় চেপেছিলেন। ফোনে অভিযুক্ত চালক চন্দন বলেন, ‘‘বাবা একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। অফিস যাওয়ার জন্য ৩এ বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোয় চেপেছিলেন। আমি সাবধানেই গাড়ি চালাচ্ছিলাম। আচমকা সিগন্যাল পড়ে যাওয়ায় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে আমি ধাক্কা মারি।’’

যদিও অন্য যাত্রীদের দাবি, অটোটি বেপরোয়া গতিতেই চলছিল। আহত যাত্রী, ব্যাঙ্ককর্মী রঞ্জিতা দাসের অভিযোগ, ‘‘আমি অটোর পিছনের আসনে একেবারে ডান দিকে ছিলাম। অত্যন্ত বেপরোয়া গতিতে অটো চালাচ্ছিলেন চালক। প্রতিবাদ করায় কিছু ক্ষণের জন্য গতি কমালেও ঠাকুরপুকুর থানার পর থেকে ফের গতি বাড়িয়ে দেন। পোড়াঅশ্বত্থতলার সিগন্যালে হঠাৎ ঝাঁকুনি অনুভব করি।’’

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অটোটি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িকে সজোরে ধাক্কা মারার পরেই উল্টে যায়। রঞ্জিতা বলেন, ‘‘আমার ডান পা কেটে রক্ত বেরোতে থাকে। হাঁটুতে আঘাত লাগে। দুর্ঘটনার পরে অনেক ক্ষণ উঠতে পারছিলাম না। লোকজন আমায় একটি দোকানে বসিয়ে চোখেমুখে জল দেন। আমার পাশের যাত্রীর হাত, পা কেটে যায়। সামনের আসনে বসা যাত্রীর তখন জ্ঞান ছিল না। স্থানীয়েরাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।’’ সেই যাত্রীই নিত্যবাবু।

বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত আর এক যাত্রী রাজেশ রাজদেবের বাঁ পা এবং কোমরের হাড় ভেঙেছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ডিসি (দক্ষিণ-পশ্চিম) নীলাঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘‘চালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁর খোঁজ চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement