অসমাপ্ত অডিটোরিয়াম, চলছে কাজিয়া

বাম আমলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল। কাজও শুরু হয়েছিল। পরে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। কিন্তু অডিটোরিয়ামের কাজ এখনও অসমাপ্ত। যদিও দ্রুত কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছে বজবজ পুরসভা। বজবজ পুরসভা সূত্রের খবর, ২০০০ সালে পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ উদ্যান এলাকায় প্রায় ১০ কাঠারও বেশি জমির উপরে অডিটোরিয়াম তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছিল বাম পরিচালিত তৎকালীন বোর্ড।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৫ ০১:৩৩
Share:

এখনও বাকি কাজ। — নিজস্ব চিত্র।

বাম আমলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল। কাজও শুরু হয়েছিল। পরে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। কিন্তু অডিটোরিয়ামের কাজ এখনও অসমাপ্ত। যদিও দ্রুত কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছে বজবজ পুরসভা।

Advertisement

বজবজ পুরসভা সূত্রের খবর, ২০০০ সালে পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ উদ্যান এলাকায় প্রায় ১০ কাঠারও বেশি জমির উপরে অডিটোরিয়াম তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছিল বাম পরিচালিত তৎকালীন বোর্ড। ২০১৫-এও অডিটোরিয়ামের কাজ শেষ হয়নি। নতুন তৃণমূল পুরবোর্ডের দাবি, রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় গত বছর থেকে ফের চালু হয়েছে ভবন তৈরির কাজ।

পুরসভা সূত্রের খবর, বজবজে কোনও অডিটোরিয়াম ছিল না। তাই তিন তলার অডিটোরিয়াম তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। প্রকল্পটির পাশেই রয়েছে একটি বালিকা বিদ্যালয়। অডিটোরিয়াম হলে ওই বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা খুবই সঙ্কীর্ণ হবে, তাই বাসিন্দাদের একাংশ বিরোধীতা করেন। তা সত্ত্বেও কাজ শুরু হয়। ২০১০-এর পুরভোটের সময়েও দেখা যায় কাজ শেষ হয়নি। সে বারে পুরবোর্ড দখল করে তৃণমূল। তারাও ভবনের কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ২০১৫-এর পুরভোটের সময়েও ভবনটির কাজ শেষ হয়নি।

Advertisement

এখনও সামনের দিকে একটি কোলাপসেবল গেট ছাড়া কোনও দরজা, জানালা বসেনি। প্লাস্টার দূর অস্ত‌্ কয়েকটি জায়গায় গাঁথনির কাজই শেষ হয়নি। স্থানীয় ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের হিমাংশু সিংহ বলেন, ‘‘১০ বছরেও সিপিএম কাজ শেষ করতে পারেনি। আমার বোর্ডে আসার পরেই সেই কাজ শুরু করেছি।’’ দ্রুত ভবনের কাজ শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর।

সিপিএমের প্রদ্যুৎ মজুমদার বলেন, ‘‘বাম পুরবোর্ড থাকার সময়ে কাজ ভালোই এগচ্ছিল। কিন্তু তৃণমূল আসার পরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, বাম আমলে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। ২০১০-এ তৃণমূল বোর্ড মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেটকে দিয়ে একটি সমীক্ষা করায়। দেখা যায় প্রকল্প শেষ করতে প্রায় এক কোটি ৭০ লক্ষ টাকা লাগবে। পূর্বতন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের গৌতম দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘টাকার সমস্যা রয়েছেই। বিধায়ক তহবিল ও পুরসভার থেকে ৭৫ লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি এক কোটির টাকার বন্দোবস্ত করার চেষ্টা চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement