ATM

ভিন্ রাজ্যেও এটিএমে কারসাজি করে লুট

এ নিয়ে কলকাতা পুলিশ এটিএম-কাণ্ডে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২১ ০৬:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

কলকাতা ও বিধাননগরের বিভিন্ন এটিএম লুটের আগে বেঙ্গালুরু, জালন্ধর ও ফরিদাবাদে একই কায়দায় ‘অপারেশন’ চালিয়ে কয়েক কোটি টাকা লুট করেছিল তারা। গুজরাতের সুরাত থেকে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্ত মনোজ গুপ্ত ও নবীন গুপ্তকে জেরা করে এমনটাই জানা গিয়েছে। এ দিকে, নিউ মার্কেট এলাকার একটি এটিএম থেকে ১৮ লক্ষ টাকা লুটের ঘটনায় মঙ্গলবার দিল্লি পালানোর পথে কলকাতা বিমানবন্দরের সামনে ধরা পড়েছে মহম্মদ নাসিম ওরফে রাজবীর নামে আর এক অভিযুক্ত। তার বাড়ি দিল্লিতে। এ নিয়ে কলকাতা পুলিশ এটিএম-কাণ্ডে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল।

Advertisement

সুরাতে ধৃত মনোজকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এটিএম স্কিমিং-এর ঘটনায় ধরে কলকাতা পুলিশ। সেই সূত্রেই জানা যায় ‘রোমানিয়ান গ্যাং’-এর নাম। পুলিশ জানায়, এ বারের ঘটনায় এটিএমের সিসিটিভি ফুটেজে মনোজকে দেখেই চিনতে পারেন তদন্তকারীরা। এর পরেই শুরু হয় খোঁজ। এ দিন মনোজ ও নবীনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ছ’দিনের পুলিশি হেফাজত হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লির ফতেপুর বা হরিয়ানার মেরঠে সক্রিয় এটিএম লুট-চক্র। ‘জামতাড়া গ্যাং’-এর মতো সেখানকার অনেকেই জড়িয়ে পড়েছে এই কাজে। ধৃতদের এ দিন আদালতে তোলা হয় গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের একটি এটিএম থেকে ২৫ লক্ষ টাকা লুট করার অভিযোগে। ওই এটিএমের সিসিটিভি ফুটেজে মনোজকে দেখা যায়। আর টাওয়ার ডাম্পিং-এর মাধ্যমে মেলে নবীনের ফোন নম্বর। ওই ফোনের সূত্র ধরেই এ রাজ্যের আবদুল সইফুল মণ্ডল ও বিশ্বদীপ রাউথের খোঁজ মেলে। জানা যায়, তিন ঘণ্টার মধ্যে গণেশ অ্যাভিনিউয়ের ওই এটিএম থেকে ভুয়ো কার্ড ব্যবহার করে একশো বারেরও বেশি টাকা তুলেছিল মনোজ ও নবীন। তার আগে তারা এটিএমের সঙ্গে ব্যাঙ্কের সার্ভারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সেখানে ব্ল্যাক বক্স লাগিয়েছিল। পুলিশের দাবি, বিধাননগর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া দুই দুষ্কৃতীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মনোজ ও নবীনদের।

Advertisement

অন্য দিকে, রাজারহাটের নারায়ণপুরে ডিরোজ়িয়ো কলেজের উল্টো দিকে একটি এটিএম থেকে ২১ লক্ষ টাকা সরানোর ঘটনায় সোমবার তিন অভিযুক্তকে ধরার পরে তাদের স্থানীয় সহযোগীদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের এ দিন ব্যারাকপুর এসিজেএম আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়। তাদের নাম মহম্মদ ওয়াকিল ওরফে নাদিম, সন্দীপ সিংহ ওরফে সোনু এবং অমিত গুপ্ত ওরফে অমৃত গুপ্ত।

অভিযুক্তদের আইনজীবী প্রশান্ত সাহার দাবি, ধৃতদের থেকে যে সব জিনিসপত্র আটক হয়েছে, সেগুলি ওই এটিএম জালিয়াতির কাজেই ব্যবহৃত হয়েছে কি না, তা যেন তদন্ত করে দেখা হয়। গত ১৮ মে নারায়ণপুরে ওই ঘটনাটি ঘটে। তদন্তে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ব্যাঙ্কের কিছু লেনদেন খতিয়ে দেখে। সেই সূত্র ধরেই পুলিশের দল পৌঁছয় দিল্লিতে। উধাও হওয়া টাকা কোথায় গিয়ে জমা পড়ল, তা খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এর পরে সোমবার কৈখালি এলাকা থেকে ধরা হয় ওই তিন জনকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement