আবিষ্কারের সম্মানে

দু’জনেই কলকাতার বিজ্ঞানী। দু’টি বড় ধরনের আবিষ্কারের কৃতিত্ব সত্ত্বেও ঠিক সময়ে তেমন কোনও স্বীকৃতি জোটেনি তাঁদের। দুই ‘উপেক্ষিত’ বিজ্ঞানীকে নিয়েই বুধবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল এশিয়াটিক সোসাইটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:০৭
Share:

দু’জনেই কলকাতার বিজ্ঞানী। দু’টি বড় ধরনের আবিষ্কারের কৃতিত্ব সত্ত্বেও ঠিক সময়ে তেমন কোনও স্বীকৃতি জোটেনি তাঁদের। দুই ‘উপেক্ষিত’ বিজ্ঞানীকে নিয়েই বুধবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল এশিয়াটিক সোসাইটি। এঁদের এক জন কলেরা টক্সিন-এর আবিষ্কারক, প্রয়াত শম্ভুনাথ দে এবং অন্য জন কলেরায় ওআরএস-এর ব্যবহারের জনক দিলীপ মহলানবীশ। ‘কলেরার উৎস নির্ণয়, কলেরার চিকিৎসায় ওআরএস-এর ভূমিকা এবং কলকাতার বিজ্ঞানীদের অবদান’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানের মুখ্য বক্তা ছিলেন দিলীপবাবু স্বয়ং।

Advertisement

অনুষ্ঠানে এশিয়াটিক সোসাইটির মেডিক্যাল সায়েন্স সেক্রেটারি, বিশিষ্ট প্যাথলজিস্ট সুবীর দত্ত জানান— কলকাতা মেডিক্যালের প্যাথলজির চিকিৎসক শম্ভুনাথই আবিষ্কার করেন, কলেরার জীবাণু থেকে এক ধরনের নিঃসরণ হয়, যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। একই ভাবে স্যালাইনের বদলে মুখে ওআরএস খাইয়ে কলেরা রোগীকে চাঙ্গা করার ভাবনার কৃতিত্ব দিলীপবাবুর। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কলেরা যখন মড়কের চেহারা নিয়েছিল, তখন এ ভাবেই মৃত্যুর হার বহুগুণ কমানো হয়। ‘‘এই বিজ্ঞানীদের স্বীকৃতি না দেওয়া শুধু এ শহরের নয়, দেশের লজ্জা,’’ অনুষ্ঠানে বলেন সুবীরবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement